সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : চোরাই গরু নিয়ে চেংজানা, সাহিতপুর ও পেড়ী গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের পর যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের পেড়ী গ্রামের রইছুল ইসলামের বাড়ি থেকে একটি চোরাই গরু উদ্ধার করে।

গত রবিবার যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অনুমান ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বকনা গরু উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযানের সময় পেড়ী গ্রামের হাদিস মিয়াকে আটক করা হলে তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক রইছুলের বাড়ি থেকে গরু উদ্ধারের পর সাহিতপুর এলাকা থেকে সুমন নামের এক গরু ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হয়।

আজ সোমবার সকালে পুলিশী প্রহরায় গ্রেফতারকৃত হাদিস মিয়া ও সুমনকে নেত্রকোনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে দু’জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

চোরাই গরু নিজ হেফাজতে রেখে দীর্ঘদিন ধরে কেনাবেচার অভিযোগে কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল আহম্মেদ বাদী হয়ে পেড়ী গ্রামের হাদিস মিয়া, রইছুল ইসলাম ও সাহিতপুর গ্রামের সুমন মিয়ার নাম এজাহারে উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে সোমবার কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল আহম্মেদ জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে চোরাই গরু নিজ হেফাজতে রেখে কেনাবেচা করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে আসছিলেন। সাহিতপুর গ্রামের সুমন ও পেড়ী গ্রামের হাদিস ও রইছুল ইসলাম এই চোরাই গরু বেচাকেনার সাথে জড়িত। রোববার যৌথ বাহিনীর অভিযানে হাদিস মিয়া আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেড়িয়ে আসে। পুলিশ জানায়, হাদিসের দেওয়া তথ্য মোতাবেক পেড়ী গ্রামের রইছুল ইসলামের বাড়ি থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বকনা গরু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তার দেওয়া তথ্যে সাহিতপুর এলাকা থেকে গরু ব্যবসায়ী সুমনকেও গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ওমর কাইউম বলেন, এজাহার নামীয় হাদিস, সুমন ও রইছুল চোরাই গরু নিজ হেফাজতে রেখে কেনাবেচার করতেন। এ অভিযোগেই তাদেরকে গ্রেফতার করে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও বলেন, চোরাই গরু চক্রের সাথে আরও কে কে জড়িত আছে সেজন্য তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আদালতে আবেদন করা হবে।

(এসবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪)