ঈশ্বরদীতে কলেজ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে হাতুড়ি পেটা
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে মেহেদী হাসান রাতুল (২০) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীকে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ছলিমপুরের চরমিরকামারী ত্রিমোহিনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাঁর বাবা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় এজাহার দিয়েছেন। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত মেহেদী হাসান ছলিমপুরের চরমিরকামারী এলাকার আব্দুল মজিদ সরদারের ছেলে। তিনি স্থানীয় দাশুড়িয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। গুরুতর আহত অবস্থায় মেহেদী হাসানকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা হাসপাতালে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেহেদী হাসানের চাচা রুবেল হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দুটি বাইক ও একটি অটোরিকশায় করে কয়েকজন যুবক ছলিমপুরের চরমিরকামারী ত্রিমোহিনী রাস্তার মোড়ে আসেন। রাতুল সেখানে ব্যক্তিগত কাজে অবস্থান করছিলেন। তারা এসে রাতুলকে গালি দিয়ে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে এলাকার একটি চালকলের কাছে আনেন। সেখানে মারধর ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে চলে যান। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রুবেল হোসেন আরও জানান, দুর্বৃত্তরা হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর কারণে তাঁর ভাতিজা রাতুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে গেছে। এ ছাড়া ডান পায়ের তিন স্থানের হাড় ভেঙে গেছে। কী কারণে রাতুলের ওপর হামলা করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। হামলার সময় রাতুল কয়েকজনকে চিনতে পেরেছেন। ধারণা করছি রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত একটি পক্ষ তাকে অপহরণ ও মারধরের সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকেও জানানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম শামীম জানান, রাতুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, রাতুলের বাবা বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এজাহারে এলাকার বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে। মামলা নথিভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের নাম বলা যাচ্ছে না।
(এসকেকে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪)