উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ২নং সেক্টরে ২৫০ সদস্যবিশিষ্ট পাকসেনা ও রাজাকারদের একটি দল রামগঞ্জ বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। এই খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনীর ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল রামগঞ্জ বাজারের পূর্ব দিকে পাকসেনাদের জন্য এ্যামবুশ পাতে। পাকসেনা ও রাজাকারের দল অগ্রসর হবার পথে এ্যামবুশের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ২০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়।

৪নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৬০ জন যোদ্ধার একটি দল কুমারসাইলে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক অভিযান চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে আড়াই ঘন্টা গোলা বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৯ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।

৫নং সেক্টরের তামাবিল সাব-সেক্টর ব্রেভো কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে মোঃ রফিকুল আলম কোম্পানীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

৮নং সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকবাহিনীর দত্তনগর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ২ জন আহত হয়।

ঢাকার গোপীবাগে শহর মুসলিম লীগ সভাপতি মোহাম্মদ হোসেনের বাসভবনে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা আক্রমণ চালায়। এতে পাহাড়াদারদের সাথে গেরিলাদের প্রচন্ড গুলি বিনিময় হয়। তবে কোন হতাহত হয়নি।

মুক্তিবাহিনী গোপালগঞ্জ মহকুমার রায়চন্দ্রপুরে মধুমতি নদীতে পাকিস্তানিদের খাদ্য ও অস্ত্র বোঝাই ৪ টি নৌকার ওপর দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকবাহিনীর দু’টি নৌকা ডুবে যায় এবং ১৫ জন রাজাকার ও ২ জন পাঞ্জাবী পুলিশ নিহত হয়।

রাজশাহী সীমান্তে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দলকে অতর্কিতে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকসেনা দলের সকল সদস্য নিহত হয়।

গভর্নর ডাঃ এ.এম.মালিক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারণা চালানোর উদ্দেশ্যে রেডিও পাকিস্তানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর ছাত্রদেরকে কোন ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে অংশ না নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

জামায়াতে ইসলামীর একটি দল লন্ডন সফর করে। লন্ডনে এক সভায় সফরকারী জামায়াতে নেতা মওলানা খলিল বলেন, পৃথিবীর কোন শক্তি নেই পাকিস্তানকে বিভক্ত করে।
অপর নেতা মওলানা হামিদী স্বাধীনতা সংগ্রামকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, তথাকথিত বাংলাদেশের কোন অস্তিত্ব নেই।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪)