ভৈরব হাসপাতালে এক ব্যক্তির মৃত্যু, খোঁজ নেননি পরিবারের কেউ
সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থেকে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সে দীর্ঘ ৪৮ দিন এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ছিলো। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় কোন ধরণের খোঁজ খবর নেননি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও স্বজনরা। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে রয়েছে রহস্য। মৃত্যুর খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ। নিহত ব্যক্তি পৌর শহরের কালীপুর ডেংহাটি হাজী মোতালিব মিয়া বাড়ির আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে সফিকুল ইসলাম (৫২)।
থানা পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট স্বজনরা আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান নিহত সফিকুল ইসলামকে। ৫ আগস্ট ভর্তির পর থেকে এ পর্যন্ত পরিবারের কেউ যোগাযোগ করেনি। হঠাৎ তার ডায়াবেটিস বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের কারণে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। সে দীর্ঘদিন যাবত সিলেট শ্রীমঙ্গলে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। আহত অবস্থায় ভর্তি করার কারণে রহস্যের সৃষ্টি হয়। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই আক্তার মিয়া বলেন, আমার ভাই ৩৫ বছর যাবত শ্রীমঙ্গলে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। তার ২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। হঠাৎ ৫ আগস্ট আহত অবস্থায় কালিপুর এলাকায় তার নিজ বাড়িতে আসেন। অসুস্থ্য থাকায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। তিনি বাড়িতে আসার পর তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। আমরা স্থানীয়দের কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে চিকিৎসা দিয়েছিলাম। যতটুকু জেনেছি তার পরিবার তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মদ বলেন, নিহত সফিকুল এর স্বজনরা আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে এনেছিলো। ভর্তি করার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেউ তার খোঁজখবর নেননি। নার্সদের আন্তরিকতায় তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। শরীরে নানাবিদ রোগ ছিলো। শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত থাকার কারণে পুলিশকে খবর দিয়ে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যু প্রকৃত কারণ জানা যাবে। রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এসএস/এএস/সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪)