স্বেছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নিহতের ঘটনায় আরো একজন আটক
তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদারের নিহতের ঘটনায় আরো ১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে তাকে গোবরা গ্রাম থেকে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে । আটক সিহাব মোল্লা (৩৫) সদর উপজেলার গোবরা দক্ষিনপাড়া গ্রামের সত্তার মোল্লার ছেলে। এ নিয়ে এ ঘটনায় ৩ জনকে পুলিশ আটক করল।
এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা ঘোনাপাড়া গ্রামের বাঁকাদ্দেছ চৌধুরীর ছেলে ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কল্যাণ পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলিমুজ্জামান চৌধুরী (৫০) ও ওই এলাকার ইঙ্গুল শেখের ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী সিজার শেখকে (৪২) আটক করে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই দুই জনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত হোসেন দিদার নিহতের ঘটনায় সিহাব মোল্লার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এমন সন্দেহে তাকে আটক করা হয়েছে । কিন্তু ওই ঘটনায় এখন পর্যেন্ত মামলা হয়নি। তাই ৫৪ ধারায় তাকে আটক দেখিয়ে আজ রোববার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের বেদগ্রাম মোড়ে পথসভা শেষ করে বিএনপি। এ সভাশেষে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী গাড়ি বহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়া গ্রামের যাচ্ছিলেন। তাদের গাড়ি বহর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া মোড়ে পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড দেয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ নিয়ে মাইকে মাইকিং করা হলে স্থানীয়রা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসএম জিলানী গাড়ি বহরে হামলা করে। এতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস,এম জিলানী ও তার স্ত্রী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্নাসহ ৫০ জন আহত হন।
(টিবি/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪)