একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশায় পারিবারিক কলোহের জেরে স্বামী কর্তৃক চামেলী (২৩) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত চামেলী'র স্বামী মো. রতন খাঁ (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে পাংশা মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (১৪সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার পাট্টা ইউপির বিলমন্ডব (বিল নিহারি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘাতক রতন খাঁ ইউপির বিলমন্ডব (বিল নিহারি) গ্রামের মো. হারেজ আলী খাঁ'র ছেলে এবং নিহত চামেলী একই ইউপির জোনা পাট্টা গ্রামের মো. আঃ মালেক মন্ডলের মেয়ে। পাংশা থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘাতক রতন খাঁ'র সাথে নিহত চামেলী'র গত ০৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

তাদের সংসারে রত্না আক্তার (০৪) নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। রতন খাঁ তার বাড়ীর সামনে একটি চায়ের দোকান চালাতো। তাদের দাম্পত্য জীবনে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে প্রায়ই মনোমালিন্য হলে রতন খাঁ তার স্ত্রী চামেলীকে মারধর করতো এবং চামেলী তার বাবার বাড়ীতে চলে যেতো। এমতাবস্থায় স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা করে চামেলীকে তার বাবা তাকে তার স্বামীর কাছে পাঠায়।

সর্বশেষ গত শনিবার (১৪সেপ্টেম্বর) রাত ১০ টার দিকে রতন খাঁ তার চায়ের দোকান বন্ধ করে বাড়ীতে ফিরলে মুরগীর খোপ কেনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রতন খাঁ চামেলীকে মারধর শুরু করে এবং মারধরের একপর্যায়ে রতন খাঁ তার স্ত্রী চামেলীকে চৌকির উপর শোয়াইয়ে তার ব্যবহৃত ওড়না গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে এই হত্যা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য চামেলীর লাশ ঘর থেকে বারান্দায় এনে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা বলে শোর চিৎকার করে এবং চামেলীর পরিবারকে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে পাংশা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক স্বামী রতন খাঁকে গ্রেফতার করে।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, হত্যার অভিযোগে রতন খাঁকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আসামী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক তার দোষ শিকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। চামেলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো. আঃ মালেক মন্ডল বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪)