ময়মনসিংহ লোকনাথ মন্দির প্রতিষ্ঠা কমিটি পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন
নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ শ্রী শ্রী লোকনাথ মন্দিরে প্রতিষ্ঠা কালীন কমিটির পুনর্বহালের দাবিতে সংবাদ সন্মেলন করেন কমিটির সদস্যবৃন্দ। ১৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে ১১ নং ষ্টেষন রোড, জয়বার্তা অন লাইন নিউজ পোর্টাল কার্যালয়ে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক আশীষ সরকার।
সভাপতিত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি প্রান্তোষ চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এডভোকেট সুমন গুপ্ত, তিনি তার বক্তব্যে বলেন ১৯৯৪ সালে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করি, এবং মন্দির স্থাপন করি, অতপরঃ ১/১১ সময় প্রচন্ড দাপট ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতা অমল পাল, শংকর, ও রকেটের নেতীত্বে ভয় ভীতি প্রদর্শন পুর্বক মন্দির দখল প্রতিষ্টাকালিন কমিটি কে দিয়ে জোর পুর্বক কাগজে স্বাক্ষর করে নেয়।কমিটিপুনর্বহালের দাবিতে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের সকল স্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আশ্রম প্রতিষ্ঠা কালিন মন্দিরে যে সকল অনুদান পাওয়া গিয়েছিল তার সবই কার্যকরী কমিটির সর্ব সন্মতিক্রমে আশ্রমের ফাউন্ডেশন এর নামে জমা রাখা হয়, এই কথাটি মন্দিরের শ্বেত পাথরের লেখা ছিল বলে, রকেটএর নেতীত্বে অমল পালের দোষররা ভেঙ্গে ফেলে।
এ ছাড়াও ২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর একটি এডহক কমিট গঠন করে উপদেষ্টা রাধেশ্যাম দাস (ভেনি জুয়েলার্সের মালিক) সেই তারিখেই আহবায়ক কমিটি গঠন নিজেই সভাপতি বনে যান, সেই কমিটি কে হোটেল তাজবেঙ্গলে উত্তম চক্রবর্তী রকেটের নেতীত্বে সাবেক সংসদ সদস্য প্রিন্সিপাল মতিউর রহমানের নিকট ২১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। পরবর্তী তে জানা যায় যে এই আহবায়ক কমিটতে অধ্যাক্ষ মতিউর রহমান এই আহবায়ক কমিটিতে সহী স্বক্ষর করেননি বলে বক্তারা জানান ।
২০০৯ সালের ১১ অক্টোবর রেজুলেশনে লেখা অমল পাল নিজেই ১৬ মাস পুর্বে আহবায়ক সেজে দায়িত্ব ভার গ্রহন করে। তার মদদপুষ্ট বরুন কে ম্যানেজার করে ১৫ মাসে সেখান থেকে সভাপতি কে না জানিয়ে আশ্রমের টাকা তার নিজেস্ব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায় এবং এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা কমিটির নামে বকেয়া পরিশোধ দেখায়, কিন্তু প্রতিষ্টা কমিটি কোনো বকেয়া রেখে যায নাই বলে জানান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,ডাক্তার জিএম মজুমদার খোকন, শ্রী দুলাল চন্দ্র ঘোষ, রাজরানা আচার্য, চন্দন কুমার ঘোষ, স্বপন মালাকার, দীলিপ বসাক প্রমুখ। এ ব্যাপারে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর বসাক/ এবং সভাপতি অমল পাল মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে এ সকল বিষয় অস্বীকার করেন।
(এসপি/এএস/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪)