২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটামের পর শিক্ষার্থীদের ফের বিক্ষোভ, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে তালা
আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আল্টিমেটাম শেষে আবারো ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এবার কর্মকর্তার কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়া হল।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে পৌর বাজার চৌরাস্তা হতে কয়েকশত সাধারণ শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প.কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের এক দফা পদত্যাগ দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ তারিখ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণে সাত দিনের ছুটির আবেদন করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হাসান।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত কর্মকর্তার নানান দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, নাজমুল ডাক্তার ১৩ বছর ধরে ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, লুটপাট, স্বেচ্ছাচারিতা করে আসছে। সদ্য স্বৈরাচারী সরকারের লোকের সাথে আঁতাত করে চাকুরীর নামে টাকা নিয়ে চাকরি দেয় না বলে অভিযোগ করেন। এতো দিন আমাদের বাক স্বাধীনতা ছিল না। আওয়ামী লীগের শাসক গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি ছিলাম সকলে, এখন সময় এসেছে প্রতিবাদ করার।
পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হাসানে কক্ষে প্রবেশ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দল। কিন্তু সে সময় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হাসান শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছেন।
অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হাসানের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের নানার দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রমাণ পত্র সিভিল সার্জন অফিসার বরাবর জমা দেন। তাদের এই অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করেন আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তানজিম জাহান জিনিয়া।
ডাক্তার জিনিয়া অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হবে।
ফরিদপুর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার বদরুদ্দোজা টিপু বলেন, আমি আন্দোলনের কথা শুনেছি।কেউ যদি লিখিত অঅভিযোগ করেন, আমরা তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
পরে শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ডাক্তার নাজমুল হাসান এর অফিস রুম তালা মেরে দেন। এ সময় তারা বলেন দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে।
(টিইউ/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪)