স্টাফ রিপোর্টার : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে সংঘাত–সহিংসতায় ১৮ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমান সরকার গঠিত কমিটির খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে, প্রতিবেদনটিতে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়। 

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে প্রায় ১৮ হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন, নিহতের সংখ্যাও রয়েছে অনেক। এর মধ্যে মোহাম্মদপুর এলাকা ছিলো বেশ আলোচিত। এরমধ্যে শহীন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে এখনো আহত অবস্থায় পঙ্গুত্ব জীবন কাটাচ্ছে। শাহীন ছোট একটি পরিবারসহল ৩ সন্তানের বাবা। বর্তমানে তার কোনো আয় রোজকার নেই বললেই চলে, মানবতার জীবন যাপন করছেন এই ব্যক্তি। মোঃ শাহিন পেশায় একজন ড্রাইভার ছিলেন, জুলাইয়ের ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় কাজের থেকে বাসায় ফেরার সময় চাদঁ উদ্যান গেটের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেন শাহীন। এসময় তার পেটে গুলি লেগে এ ফোড় ওফোড় হয়ে বের হয়ে যায়। এরপর স্থানীয়রা থাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয় পঙ্গু হাসপাতালে এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসারর জন্য ঢাকা মেডিকেল ভর্তি হতে হয়। ঢাকা মেডিকেলে ৬ দিন চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাসায় রয়েছে। শাহীনের সরিরে মোট তিন স্থানে গুলি লাগে। এরমধ্যে পায়ে, হাতে ও পেটে গুলি লাগে। বাম হাত দিয়ে কোনো কাজ করতে পারছে না। বর্তমানে অসহায় জীবন যাপন করছেন শাহীন। শাহীনের ৩ জন ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট দুটি সন্তান রয়েছে। বর্তমানে কোনো কাজ তিনি করতে পারছে না। মোহাম্মদপুর চাদঁ উদ্যান লাউতলা ৮ নং রোডের আলমাস মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকছেন।

শাহীনের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানা। পিতার নাম আব্দুর রহিম। স্বরপরিবার নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করতেন। বর্তমানে শাহীন পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছেন।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার শ্রমিক দলের সভাপতি আলী কায়সার পিন্টু বলেন, শহীন আমাদের শ্রমিক দলের একজন কর্মী তিনি সবসময় আমাদের দলের জন্য মাঠে ছিলো। এই দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে, এরমধ্যে শাহীনেরও অবদান রয়েছে যা আমরা ভুলতে পারবো না।

(এস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪)