আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মাস খানেক হলো শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তার সরকার পতনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূমিকার কথা বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে। তবে এমন অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে আমেরিকা। স্থানীয় সময় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর)  সেই কথাই পুনর্ব্যক্ত করলো দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে তাদের কোনো হাত নেই। এ ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে তাদের দেশ প্রস্তুত ও আগ্রহী বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দপ্তরের উপ প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, দেখুন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত ও আগ্রহী। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।

আরও পড়ুন: ইলিশ দিচ্ছে না বাংলাদেশ, হু হু করে দাম বাড়ছে ভারতে

আরেকজন সাংবাদিক জানতে চান যে কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। যদিও ভারত ঐতিহাসিকভাবেই ক্ষমতাচ্যুত (হাসিনা) সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিল, এই অভিযোগ কি যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে চাপে ফেলতে পারে?

এই প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল জানান, এসব প্রতিবেদন তার নজরে আসেনি। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান, সেগুলো সত্য নয়। তাই হয়তো তার নজরে আসেনি।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪)