ফরিদপুরে হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীদের টোলমুক্ত ঘোষণা
রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : ফরিদপুরে হাট বাজার নীতিমালা অনুযায়ী হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা টোল বা খাজনার আওতামুক্ত ঘোষণা করেছে ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছেন ফরিদপুরের পৌর প্রশাসক। সেখানে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র সাটারবিহীন খোলা দোকানসমূহ টোল বা খাজনা প্রদান করবেন।
এদিকে, পৌর কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে একটি তাৎক্ষণিক বিবৃতি দিয়েছে হাজী শরীয়তুল্লাহ মাছ বাজারের ব্যবসায়ীবৃন্দ। সেখানে তারা জানিয়েছেন, পৌর প্রশাসকের এ সিদ্ধান্ত বিগত সরকারের আমলে ইজারাদার কর্তৃক টোল আদায়ের নামে ব্যবসায়ীদের উপর চাঁদাবাজি বন্ধে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। সেই সাথে ইজারাদার যেন আর খাজনা নিতে তাদের কোন প্রকার চাপ সৃষ্টি না করে পারে সে বিষয়ে নজর রাখার আহ্বান জানান তারা।
হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের সকল লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা এখন থেকে আর কোন টোল বা খাজনা প্রদান করবেনা বলে সম্মত হন। এতে বাজারের মাছ, মাংস, সবজিসহ সকলে পণ্যের দাম কমে আসবে ধারণা তাদের।
হাজী শরীয়তুল্লাহ মাছ বাজারের ব্যাবসায়ীবৃন্দ ও আড়তদার মনোজ কুমার সাহা, এস এম মুসা, হারান সরকার, তপন দত্ত, শ্যামল কুমার দাস, অজিত কুমার সরকার ও মনিরুল ইসলাম মনা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে তারা বলেন, ইজারাদারের অতিরিক্ত টোল আদায়ের ফলে বাজারে কোন ব্যবসায়ী স্বল্প মূল্যে পন্য বিক্রয় করতে পারতো না। দীর্ঘদিন তারা বৈষম্যের শিকার ছিলো। তারা বলেন, তাদের শতকরা ৩ টাকা হারে চাঁদা প্রদান করতে হতো। সে মতে এক কেজি ইলিশের দাম ১৫০০ টাকা হলে তার খাজনা আসতো ৪৫ টাকা। এক লাখ টাকার পণ্যে খাজনা দিতে হতো ৩ হাজার টাকা। যা সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে ইজারাদারেরা আদায় করতো। দেশের কোথাও লাইসেন্স নিয়ে বা খোলা মাছ বিক্রির জন্য খাজনা আদায় করা হয় না। শুধুমাত্র ফরিদপুর ছিলো ব্যাতিক্রম!
তারা বলেন, অবৈধভাবে ইজারাদারদের এই টোল আদায় বন্ধ হওয়াতে এখন বাজারে মাছ, মাংসসহ সকল পন্যেরই দাম কমবে। এতে করে ভোক্তা সাধারণ উপকৃত হবে বলেও জানানো হয়।
এদিকে, নিয়মিত ওই বাজারের কয়েকজন ভোক্তা জানিয়েছেন, ইজারাদার খাজনা না নিলে খাজনা আওয়ায় না পরা ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম কমানো উচিত। কিন্তু, ওইসব ব্যবসায়ীরা যে দাম কমাবেন সেটার নিশ্চয়তা কে দিবে? ভোক্তা পর্যায়ে পৌরসভার এই উদ্যোগের সুফল পেতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা রাখার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
(আরআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪)