৫ দিন পর চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু
রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এবং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার উভয়দিকে কর্ণফুলি নদীর উপর নৌ পথে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত ২টি ফেরি নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে গত ৫ দিন ধরে বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা হতে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধির ফলে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬ টি জলকপাট খুলে দেওয়ায় কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় গত ৩১ আগস্ট হতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ ( সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, নদীতে কিছুটা স্রোত কমে আসায় চালক, যাত্রী, ব্যবসায়ী এবং সর্ব সাধারণের কথা চিন্তা করে আমরা বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা হতে ফেরি চলাচল শুরু করেছি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় এই প্রতিবেদক যান চন্দ্রঘোনা ফেরি ঘাট এলাকায়। এসময় কথা হয় ফেরির ইজারাদারের মো: শাহজাহান এর সাথে। তিনি বলেন, নদীতে স্রোত কিছুটা কম হলেও এখনো স্রোত রয়েছে, আমরা সকলের কথা চিন্তা করে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা হতে ফেরি চলাচল শুরু করেছি। তবে দুপুর ১২ টা হতে ১ টার মধ্যে নদীতে জোয়ার আসলে ফেরির গ্যাংওয়েতে পানি উঠে গেলে তখন কিছু সময়ের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা হতে ১২ টা পর্যন্ত চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে বেশ কিছু চালক, যাত্রী এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তাঁরা সকলেই জানান, গত ৫ দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আমাদের দূর্ভোগ চরমে উঠেছিল। এইছাড়া কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে দিয়ে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ইঞ্জিন চালিত বোট দিয়ে পারাপার করা খুবই রিস্ক ছিল। আজ হতে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় আমরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছি।
প্রসঙ্গত: ফেরি চলাচল বন্ধের ফলে রাঙামাটি টু বান্দরবান-: রাজস্থলী সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছিল। এতে বিপাকে পড়েন এই রুটে চলাচলকারী শত শত যাত্রী এবং চালক। তাদের বিকল্প হিসাবে ইঞ্জিন চালিত বোটে ঝুঁকি নিযে পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছিল। এছাড়া অতি প্রয়োজনীয় গাড়ি গুলো চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন সেতু ব্যবহার করে এতদিন চলাচল করেছিল।
(আরএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪)