স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, তার ভাই ভাই মজিবল হক পান্না, তারেক শামস খান হিমু, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতাকর্মীসহ ১২৯ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ওই মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মালেক আদনান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি করেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র মনির হোসেন। তিনি জেলার নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে। ওই আদালতের বিচারক পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা, কুড়াল ও লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এসময় আসামিরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেখানে ত্রাসের সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ ঘটনায় বাদীসহ অন্তত ১০ জন আন্দোলনকারী আহত হন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি নেন। পরে মামলাটি নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার সকালে ওই কোর্ট থেকে আমাকে নির্দেশের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

(এসএম/এএস/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪)