উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি সড়কে গজারিয়াতে পাকসেনাদের অবস্থান-চৌকি আক্রমণ করে। এক ঘন্টাব্যাপী এ যুদ্ধে ৩ জন ইপকাফ সৈন্য নিহত ও একজন বন্দী হয়। গেরিলারা চৌকি থেকে ৫টি রাইফেল ও ১৫০ রাউন্ড গুলি দখল করে।

২নং সেক্টরে পাকবাহিনী নৌকাযোগে চারদিকে আগুন জ্বালাতে জ্বালাতে চালনায় মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দলের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে তিনটি নৌকা পানিতে ডুবে যায় এবং বহু সৈন্য নিহত হয়। শেষে পাকসেনারা আর্টিলারীর সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী শহীদ ও আব্দুস সাত্তার আহত হন।

সিলেটে মুক্তিবাহিনীর ৪৫ জন যোদ্ধার একটি দল কোনাগ্রাম ও বিয়ানীবাজার এলাকায় এক অভিযান চালায়। এ অভিযানে ৩ জন রাজাকার ও একজন দালাল নিহত হয়।

৬নং সেক্টরে কোম্পানী কমান্ডার হারেস উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর শঠিবাড়ি বন্দর ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার অবস্থানের ৬০০ গজের মধ্যে এগিয়ে এলে এস.এল.আর-এর সাহায্যে আক্রমণ শুরু করলে পাকসেনারা শেল ও রকেটের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণ সমস্ত দিন অব্যাহত থাকে।

বগুড়া জেলার গাবতলি থানার জাতহলিদা গ্রামে পাকহানাদাররা অতর্কিত হামলা চালায়। সৈয়দ আহসান হাবিব দিপুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে একজন পাকসৈন্য নিহত হয়। পাকসৈন্যরা ৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪)