সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : বাড়ির সদস্যদের হাত, পা ও মুখ বেঁধে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক দুর্ধষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের ধনাট্য ব্যক্তি কোবাদ আলীর বাড়িতে। গতকাল শুক্রবার রাত অনুমান সাড়ে ৩টার দিকে ওই বাড়িতে হানা দেয় অস্ত্রধারী ডাকাত দল। অভিযোগ উঠেছে ডাকাত দলের সদস্যরা ওই বাড়ি থেকে নগদ ৭০ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়।

জানা যায়, শুক্রবার রাত অনুমান সাড়ে ৩ টার দিকে মজলিশপুর গ্রামের কোবাদ আলীর বাড়িতে হানা দেয় অস্ত্রধারী ডাকাত দল। তারা কোবাদ আলীর ঘরে প্রবেশ করে রানা ও তার ছোট বাবুর হাত, পা ও মুখ বেধে ফেলে। এছাড়া বাড়ির অন্যন্য সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরে সুকেসে রক্ষিত নগদ ৭০ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরটেঙ্গাবর গ্রামের মৃত রমজান মিয়ার ছেলে বাদশাকে রাতেই আটক করে জনতা।

কোবাদ আলী জানান, ডাকাতি করে চলে যাওয়ার পথে বাদশা নামক এক ব্যক্তিকে বামনগাতী মোড় এলাকা থেকে আটক করে স্থানীয় জনগণ। এসময় তার কাছ থেকে কিছু নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কেন্দুয়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদশা ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তার সাথে স্থানীয় ও কিশোরগঞ্জের কয়েকজন ডাকাত দলের সদস্য জড়িত রয়েছে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মজলিশপুর গ্রামের ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত বাদশা নামক এক ব্যক্তিকে জনতা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বাড়ির মালিক দাবি করছেন ডাকাত দলের সদস্যরা ৬০/৭০ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। তবে এ বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

(এসবি/এসপি/আগস্ট ৩১, ২০২৪)