আদমদীঘি প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে বিএনপি নেতা মাহফুজুল হক টিকনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির নিমাইদীঘি গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী এমন অভিযোগ তুলেছেন। তার ভাগ্নে শামিমের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা নেন জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহফুজুল হক টিকন। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজীর ঘটনাটি ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অডিও, ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতেকরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলাম জানান, গত ২৩ আগষ্ট শুক্রবার রাতে আমাকে ফোন করেন উপজেলা বিএনপি নেতা মাহফুজুল হক টিকন। বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন তিনি। বলেন টাকা না পেলে রাজনৈতিক কয়েকটি মামলার আমাকে আসামী করবে বলে হুমকি- ধামকি দেন। এরপর আরও বলেন, আপনার ভাই শাহিনুরকে সান্তাহারের যুবদল অফিস পোড়ানোর মামলায় আসামী করা হয়েছে। চাহিদা পূরণ না করলে আপনার জন্য এর চেয়ে কঠিন অবস্থা হবে। তার এমন কথায় আমি ভয় পেয়ে যায়। পরে আমার ভাগ্নে শামিমকে দিয়ে ৩০ হাজার টাকা বিএনপি নেতা মাহফুজুল হক টিকনের হাতে পৌঁছে দেয়। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে নেতাদের এমন কর্মকান্ড থেকে পরিত্রাণ পেতে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। এদিকে ওই বিএনপি নেতার প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘটনাটি অডিও, ভিডিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। অনেকেই তার এই চাঁদবাজীর দৃশ্য দেখে প্রশ্ন তুলেছেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহফুজুল হক টিকন জানান, অভিযোগকারী শফিকুল ইসলামের সাথে আমার কোন সম্পৃক্তা নেই। আমার বিরুদ্ধে এটা একটি চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়।

আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদার জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শফিকুল। অডিও ও ভিডিও হাতে পেয়েছি। বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়েছে। এখন বাকি সিদ্ধান্ত তাদের।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।খতিয়ে দেখে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(এস/এসপি/আগস্ট ৩১, ২০২৪)