গণমাধ্যম কর্মীদের ‘প্রেসম্যান ফর প্রেসক্লাব’ দাবি বাস্তবায়নে অন্তরায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সুবিধাভোগীরা
নীহার রঞ্জন কুন্ডু
গণমাধ্যম কর্মীদের ‘প্রেসম্যান ফর প্রেসক্লাব’ দাবি বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সুবিধাভোগীরা কেন অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে, এর রহস্য উদঘাটনে অনেক লেখালেখি হয়েছে। গণমাধ্যমে কর্মরত কতিপয় জাতির বিবেক বলে খ্যাত, সমাজের আয়না লেবাসে পেশার সম্মান মর্যাদা রক্ষার পরিবর্তে প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ডে জড়িতদের ভূল ত্রুটি শুধরে নেওয়ার জন্য দীর্ঘ ৩ বছর লেখালেখি হচ্ছে।
‘প্রেসম্যান ফর প্রেসক্লাব’ দাবির যৌক্তিকতা থাকলেও কতিপয় অবৈধ অর্থ লোভী ব্যাক্তি রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। এরা সকল সময় ক্ষমতাকে সঙ্গী বানাতে ডিসিকে সভাপতি নিজেদের ব্যক্তিগত ফায়দা লুটেছে, সকল সুযোগ সুবিধা যেন তাদের জন্য আছড়ে পড়ে এমন ভাব ভঙ্গীমা নিয়ে দাম্ভিকতার সাথে বলতে শোনা যায়, "ওরা কি সাংবাদিক"?
গোটা কয়জনের জন্য ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ দুই শতাধিক সাংবাদিক তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকদের বিবেক জেগে উঠেছে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে, অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি রোধে, জনশৃঙ্খলা রক্ষায়, রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে একযোগে কাজ করার জন্য পেশাদার সাংবাদিকদের বাতিঘর হবে প্রেসক্লাব।
এক্ষেত্রে ময়মনসিংহে এর ব্যতিক্রম জঞ্জাল প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এখানে আমলা, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, আইনজীবী অপেশাদার ব্যক্তিদের সমন্বয় ঘটেছে। এরা প্রেসক্লাবে কেউ কর্তাব্যক্তি কেউ বা সদস্য হওয়ায় উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ লেখা যাবে তবে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে যদি নিম্ন মানের কাজ হয় বা অনিয়ম দুর্নীতি হয় তাহলে স্বাধীন সাংবাদিকতার পেশায় এরা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, ফলে দুর্নীতিবাজদের উত্থান ঘটে, অন্যদিকে সত্য বলা লেখনীর সাংবাদিক হামলা মামলা নির্যাতনের শিকার হতে থাকে। ন্যায় বিচার থেকে হয় বঞ্চিত। আমরা এমন পরাধীন সাংবাদিকতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেতে চাই। সংবাদ কর্মীরা প্রতিবাদ করছে করবে সত্যের জয় হবে।
ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের অসাংবাদিকদের সদস্য পদ বাতিল, পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন, দুর্নীতি অনিয়ম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের সত্যতা উম্মোচন করতে গত ২/৩ বছরে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দুর্নীতি অনিয়মের জন্য হয়েছে একাধিকবার মানববন্ধন, বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনে দেওয়া হয়েছে স্মারকলিপি, বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়ে প্রেসক্লাবের ভিতরে ও বাহিরে কিন্তু কোন প্রতিকার হয়নি। বিভাগীয় শহরের সৎ নিষ্ঠাবান দায়িত্বশীল পেশাদার নির্মোহ সাংবাদিকদের অধিকার দাবি মর্যাদার আন্দোলনে ব্যাপক গ্রহণ যোগ্যতা পেয়েছে সর্বসাধারণের মাঝে।
প্রেসক্লাব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ যাবৎ কোন সংবাদের প্রতিবাদ দেয়নি। প্রেসকাউন্সিলে বলা আছে তিন মাসের মধ্যে কোন প্রতিবাদ না দিলে প্রতিবেদনটি আইন আদালতে সত্য বলিয়া পরিগনিত হয়। এদের কৃতকর্মের আংশিক ঘটনার একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক জহর লাল দে এবং সাপ্তাহিক সোনালী শীষ পত্রিকার সম্পাদক এর বিরুদ্ধে সম্মানহানীর অভিযোগ এনে বিজ্ঞ আদালতে একটি হয়রানি মূলক মামলা করলেও প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য প্রমাণিত হওয়ায়, মিথ্যা মামলা বিবেচিত হওয়ায় খারিজ হয়ে যায়- এ লজ্জা প্রেসক্লাবের?
অধিকার বঞ্চিত সাংবাদিকগণ সম্মান মর্যাদা রক্ষার ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন করছে তাদের প্রাপ্য দাবি অধিকার বাস্তবায়নের জন্য, এই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে অলাভজনক সদস্য নেওয়ার ফরম বিক্রি শুরু করেছে ডিসি, সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগের পর-তারা রাজনৈতিক নেতাদের ডেকে এনে গণমাধ্যম কর্মীদের হুমকি ভীতসন্ত্রস্থ পরিবেশ সৃষ্টি করে স্বাধীন মত প্রকাশে গলা টিপে ধরার চেষ্টা করছে, আগের মিথ্যা মামলায় হেরে যাওয়া তথাকথিত সাংবাদিক নেরারা।
ফলে সকল গণমাধ্যম কর্মী ও সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সংবাদকর্মীকে কৌশলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে সাংবাদিকগণ কর্মসূচি দিবে এমনটাই আলোচনা হচ্ছে। ময়মনসিংহের সকল সুবিধা বঞ্চিত সংবাদকর্মী ন্যায়সঙ্গত দাবী বাস্তবায়নে সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছেন।
লেখক : গণমাধ্যমকর্মী।