উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : ঢাকা থেকে চাঁদপুর চাঁদপুর থেকে ঢাকা ব্যস্ততম একটি নৌরুট। প্রতিদিন এই রুটে অনেকগুলো যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা চাঁদপুরের অনেক চাকরিজীবী প্রতিদিনই এই রুটে যাতায়াত করে। এছাড়াও সাধারণ মানুষ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে রাজধানীর অভিমুখী হয়ে থাকে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে নির্ধারিত সময়ের লঞ্চ পাবার আশায় প্রতিদিনই যাত্রীসাধারন লঞ্চঘাটে এসে উপস্থিত হন। কিন্তু ঘাটে এসে শুনতে পান ৫টা ৪০ মিনিটে লঞ্চ ছাড়বে না, ৭টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাবে। তখন যাত্রীদের কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাবুরহাট থেকে সড়ক পথে চলে যান। আবার কেউ কেউ বাধ্য হয়ে পরের লঞ্চে যেতে হয়।

গতকাল শুক্রবার চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এসে দেখা যায় ৫টা ৪০ মিনিটের লঞ্চ ছেড়ে যায়নি সেটি ৭টি ২০ মিনিটে ছেড়ে গেছে এবং সকাল ৮টার লঞ্চ ৯টায় ছেড়ে যায়।

প্রতিদিন এই রুটে চাঁদপুর থেকে ঢাকা ২৩টি লঞ্চ যাতায়াত করে অন্যদিকে ঢাকা থেকে চাঁদপুরও ২৩টি লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর থেকে প্রথম লঞ্চ সকাল ছয়টায় ছেড়ে যায়, সর্বশেষ লঞ্চ রাত ১২টা ৩০ মিনিট। কখনো ৩০ মিনিট, ৪০ মিনিট বা এক ঘন্টা বিরতিতে ক্লাসগুলো ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সিডিউল মানা হচ্ছে না।

এমনিতেই সড়কপথে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে ঢাকা চাঁদপুর নৌরুটে যাত্রী কিছুটা কমে গেছে। তারপর লঞ্চ মালিকের এরকম খামখেয়ালিপনায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছে। অনেকের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হচ্ছে।

যাত্রী সাধারণের প্রশ্ন একটাই নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ চলুক বা না চলুক এটি যদি একান্তই তাদের ব্যক্তিগত হয়ে থাকে তাহলে সিডিউলের কী দরকার। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিক ও কর্মচারীদের রয়েছে নানা অজুহাত। সোনার তরী লঞ্চের একজন স্টাফকে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তুমি জানান, যাত্রী কম থাকার কারণে ৮টার লঞ্চ ৯টায় ছেড়ে যায়।

৭টা ২০ মিনিটে যাওয়ার জন্য ঘাটে আসা একযাত্রী জানান, আমি বিদেশ যাবো সেজন্য লঞ্চঘাটে এসেছি ঢাকা যাওয়ার জন্য। এসে দেখি লঞ্চ ৯টায় ছাড়বে তাই আমি বাধ্য হয়ে সড়ক পথে চলে যাচ্ছি। কারণ সময়ে পৌঁছতে না পারলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এভাবে শুধু তিনিই নয় আরো অনেক মানুষ লঞ্চ সঠিক সময়ে না ছাড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানান, সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও ছেড়ে যাননি।

এ বিষয়ে পোর্ট অফিসারকে ফোন করে জানতে চাইলে, তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন তবে বিষয়টি আমার না এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক বলতে পারবেন।

পরে বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক বশির আহমেদের ০১৭১১১৮৫২৯৬ নাম্বারে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(ইউএইচ/এসপি/আগস্ট ৩১, ২০২৪)