কাজী হাসান ফিরোজ, বোয়ালমারী : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অগ্নিকাণ্ডে দুইটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ৪টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ারসার্ভিস। 

সোমবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসদরের ওয়াবদা মোড়ের তানভীর মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

দোকান গুলোতে থাকা দাহ্য পদার্থে আগুন লাগায় আগুনের ভয়াবহতায় চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ঘন ঘন পেট্রোলিয়াম ড্রাম বিস্ফোরণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে উপজেলার ওয়াপদা মোড়ে তানভীর মার্কেটের ৪টি দোকানই আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে। এর তিনটিতে অর্পিতা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সঞ্জয় পাল দাহ্য পদার্থ পেট্রোল, অকটেন, মবিল ও মোটরসাইকেলের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। সেই সাথে মোটরসাইকেলের সার্ভিসিংয়ের একটি ওয়ার্কশপ রয়েছে। এছাড়াও একই মার্কেটে সাজু মিয়া নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মুদি ও চায়ের দোকানের ব্যবসা করেন। প্রতিদিনের ন্যায় রাত ১২টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায় ব্যবসায়ীরা। রাত ১টার দিকে পথচারীরা সঞ্জয় পালের দোকানে আগুন দেখতে পেয়ে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে খবর দেয়। এ সময় দোকানে থাকা পেট্রোল ডিজেলের ড্রাম বিস্ফোরণে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা ও দাহ্য পদার্থের পাত্র বিস্ফোরণের ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় ফায়ার-সার্ভিস কর্মীদের। স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।

আগুনে অর্পিতা এন্টারপ্রাইজের সার্ভিসিং-এ থাকা ৪টি মোটরসাইকেলসহ সব মালামাল ও সাজু মিয়ার মুদি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সঞ্জয় পাল জানান, সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মালামাল ছিলো আমার প্রতিষ্ঠানে। ১৫ লাখ টাকা ঋণ করে মালামাল উঠিয়েছিলাম। এ ছাড়া কাস্টমারের চারটি মোটরসাইকেলও ছিলো, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনেন্দ্রনাথ চৌধুরী জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে আমাদের তিনটি দল ও স্থানীয়দের সহায়তায় পানি ও গ্যাস দিয়ে দেড় থেকে দুই ঘন্টা চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। দোকানে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে দু'জন ব্যবসায়ীর সব কিছু পুড়ে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবো।

(কেএফ/এসপি/আগস্ট ২৭, ২০২৪)