উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন ইদ্রিস ও সুবেদার মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর দু‘টি দল পাকবাহিনীর কানসাট অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড চাপে পাকসেনারা কানসাট ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। অল্প সময় পরে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী এই আক্রমণের মুখে পিছনে সরে আসে।

রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরে হাবিলদার শফিকের দল অতর্কিতভাবে পাকসেনা কর্তৃক আক্রান্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা মর্টার ও হালকা মেশিনগানের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।

আয়ুব আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল ভালুকা থানায় পাকসেনাদের মল্লিকবাড়ি ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক সৈন্য আহত হয়।

মুক্তিবাহিনী ছাগলনাইয়া থানায় পাকবাহিনীর আমজাদহাট প্রতিরক্ষাব্যূহের ওপর মর্টার আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকসেনারা মুহুরী নদী পার হয়ে খাদ্যদ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

ফেনীতে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ৬টি নৌকাকে ব্রাহ্মণপাড়ার কাছে তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। বাকী সৈন্যরা কয়েকটি নৌকায় পালাতে গেলে নাগাইশে সুবেদার নজরুলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী তাদের ওপর আক্রমণ রচনা করে। এতে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধে গেরিলা যোদ্ধা আবদুল মতিন শহীদ হন।

টাঙ্গাইল শহরের তিনমাইল দূরে জলপাই গ্রামে কাদেরিয়া বাহিনীর সাথে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং একজনকে পাকহানাদাররা ধরে নিয়ে যায়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

পাকহানাদাররা ‘শিল্পরক্ষী বাহিনী’ নামে একটি বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে-পূর্ববাংলায় ক্ষীণ হলেও যেটুকু শিল্প বিকশিত হয়েছে তা ধ্বংস করা।

পূর্ব পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি শামসুল হুদা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার উদ্দেশ্যে আহবান জানান, সরেজমিনে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা দেখে ‘দুষ্কৃতকারী’ দমনে আরও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নেয়ার।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৬, ২০২৪)