সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বন্যার্তদের সহযোগিতায় গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচী চলছে। আজ রবিবার তৃতীয় দিনে মতো এ কর্মসূচী পালন করছেন ভৈরবের সচেতন ছাত্রসমাজ। আকস্মিক বন্যায় পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েকটি জেলা উপজেলায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে অনেক প্রাণহানির পাশাপাশি কয়েক লাখ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা ঘর থেকে এক কাপড়ের বের হয়ে গেছে পানি বৃদ্ধির কারণে। ভৈরবের ১০টি স্বেচ্ছাসেবী টিমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গত এলাকায় সাহায্য পাঠানোর জন্য ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করছে। ভৈরব শহরের পৌর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে ভৈরব সচেতন ছাত্রসমাজের উদ্যোগে গত ৩ দিনে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার উপরে নগদ অর্থ সংগ্রহ করা হয়। এছাড়াও প্রায় ৫ লাখ টাকার উপরে খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যায়। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভৈরব শহরের ধনী, গরিব নির্বিশেষে সকলেই ১০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত ত্রাণ তাহবিলে দিচ্ছেন। কেউ চাউলের বস্তা, কেউ মুড়ির বস্তা, কেউ কাপড়, কেউবা বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনসহ বিভিন্ন ঔষধ দিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যতদিন পর্যন্ত মানুষ সাহায্যে এগিয়ে আসবে ততদিন পর্যন্ত ত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। শনিবার রাতে স্বেচ্ছাসেবীদের পক্ষ থেকে কয়েকটি টিম বন্যা দুর্গত এলাকায় সাহায্য নিয়ে গেছে। প্রতিদিনই পর্যায়ক্রমে সাহায্য পাঠানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী মনির হোসেন, আকাশ, সামাদ, ইমরান, সৌরভ, আশিক, সৈকত, সাদিয়া ও সোনিয়া জানান, মানুষ মানুষের জন্য। আমরা অন্যের বিপদে এগিয়ে গেলে আমাদের বিপদেও অন্যরাও এগিয়ে আসবে। আমরা ভাবতে পারিনি মানুষ এভাবে আমাদের ডাকে সারা দিবে। আমাদের ভৈরবের সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সবাই আমরা আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতা ও শ্রম দিয়ে যাচ্ছি। ভৈরবে সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরাও আমাদের সাথে এসে সহযোগিতা করছেন। ভৈরববাসী যদি ঠিক মতো সাহায্য করে আমরা বন্যা দুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে পারবো। বন্যা শেষ হয়ে গেলে আমরা ১০টি টিমের প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে বন্যা দুর্গত এলাকায় তাদের পুনবার্সনের কাজ করার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। এ জন্য আমাদের আরো আর্থিক সহায়তা দরকার।

(এসএস/এসপি/আগস্ট ২৫, ২০২৪)