সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে একই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত শিক্ষককে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের পাঁয়তারা করার অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলার সাদকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ জামির উদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠেছে। তাই দ্রুত নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে লিখিত অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছে একই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সদস্য আশরাফুল হক লিটন। ফলে এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

জানা গেছে, গেল ৭ জুলাই একটি জাতীয় ও একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় শূণ্যপদে একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ৬৪টি আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু সভাপতি তার একক ক্ষমতা বলে মাত্র ১০টি আবেদন রেখে বাকি ৫৪টি আবেদন বাতিল বলে গণ্য করে। ১০টি আবেদনের মধ্যে তার পছন্দের একজন শিক্ষক রয়েছেন। তাকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগের পায়তারা শুরু করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাদকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম সান্দানী বলেন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে নির্ধারীত সময় পর্যন্ত ৬৪টি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে সভাপতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০টি আবেদন রাখা হয়। তবে, তার কোন পছন্দের লোক নেই।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শেখ জামির উদ্দিন মেম্বার মুঠোফোনে জানান, বাচাই কমিটি কয়টি আবেদনপত্র বাচাই করছে আমার জানা নেই। তাছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পছন্দের লোক নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। বিস্তারিত প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন।

এদিকে লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পাওয়ার কথা স্বীকার করে (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুন্নাহার মাসুদা মুঠোফোনে জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত সবগুলো আবেদনপত্র জমা না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হলো।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০২৪)