সালথায় আখ বিক্রি করে লাভবান চাষিরা
আবু নাসের হুসাইন, সালথা : গ্রামের কোলঘেষে বেলে-পান্তা জমিতে দাড়িয়ে আছে সারি সারি লাল, কালো ও খৈয়ারী রঙের আখ। গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাধু ও রসালো। মুখে নিয়ে চিবানি দিলেই মিষ্টি রসে ভরে যায় গাল। বিক্রির জন্য প্রতিনিয়ত হাট-বাজারে উঠানো হয় এই আখ। আখচাষ করে লাভবান চাষিরা। আখ ভালো হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুটে ওঠেছে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত। এখানে বছরে তিনটি ফসল উৎপাদণ হয়। পাট, পেঁয়াজ ও ধান। এই ফসলের পাশাপাশি এবছর ২৫ একর জমিতে আখচাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছেন।
উপজেলার গট্টি, সোনাপুর, যদুনন্দী, বল্লভদি ও আটঘর ইউনিয়নের কিছু চাষীরা আখচাষ করেছেন। শকুনকানী, গেন্ডারি, ঈশ্বরদী ও মালায়শিয়া সহ ১৬ জাতের আখ চাষ হয়েছে। বাজারে প্রতি পিস আখ ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে চাষিরা লাভবান হচ্ছে।
উপজেলার আখচাষি রহমান মুন্সী, আসাদ মাতুব্বর ও নিজাম খন্দকার জানান, গতবারের তুলনায় এবছর বেশ কিছু জমিতে আখ চাষ হয়েছে। জমিতে আখ খুব ভালো আছে। প্রতি বিঘা আখ চাষ করতে এক লাখ টাকা থেকে দেড় লাখ টাকার মতো খরচ হয়। এই আখ বাজারে ২ লাখ টাকা থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে। পরিশ্রম বেশি হলেও অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে লাভ বেশি। তাই আগামীতে আখচাষ আগ্রহ বাড়বে চাষিদের।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, আখ একটি অর্থকরী ও উপজেলার সম্ভাবনাময় ফসল। এবার আখ খুব ভালো হয়েছে। চাষীরা দামও খুব ভালো পাচ্ছে। আখ চাষের শুরু থেকে চাষিদের বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আখচাষে চাষিদের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
(এএন/এসপি/আগস্ট ১৮, ২০২৪)