তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : দীর্ঘ ৪৩ বছর পর শেখ হাসিনা বিহীন আজ বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তখন বিদেশে থাকায় শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান। দীর্ঘ ৬ বছর নির্বাসনে থাকার পর শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন। তারপর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নেন। ৪০ দশক ধরে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা ৪ বার সরকার গঠন করেন। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে তিনি ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এ কারণে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৪৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতে টুঙ্গিপাড়ায় পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন নি। ৪৩ বছর পর তাঁকে ছাড়াই টুঙ্গিপাড়ায় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ শোক দিবসে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কোন নেতা বা সাবেক মন্ত্রীদের দেখা যায়নি। 

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় তিনি প্রতি বছরই ১৫ আগস্টে টুঙ্গিপাড়া এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এছাড়া বিরোধী দলীয় নেত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময় শেখ হাসিনা প্রতি বছর ১৬ আগস্ট টুঙ্গিপাড়া আসতে। তারপর বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে জাতীয় শোক দিবসের শ্রদ্ধা জানাতেন ।আয়োজন করা হত আলোচনা সভার। সেখানে জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখতেন।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগদিতে পারেন নি। কিন্তু সাধারণ মানুষ সতেস্ফূর্তভাবে জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ১৫, ২০২৪)