বিবর্ণ অতীত মুছে দেয়ালে দেয়ালে ‘স্বপ্নলিপি’ আঁকছেন ভৈরবের শিক্ষার্থীরা
সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন দেশের শত শত শিক্ষার্থী-জনতা। রক্ত ঝরেছে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী-জনতার। বিবর্ণ অতীত মুছে দেয়ালে দেয়ালে ‘স্বপ্নলিপি’ আঁকছেন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর রেলিংয়ে, ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনে, সড়কের পাশের এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে তাদের স্মৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ভৈরবের শিক্ষার্থীরা।
গত ৯ আগস্ট থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকার সড়কের পাশে ও স্থাপনার দেয়ালে নানান চিত্রকর্ম রং তুলির মাধ্যমে ফুটে তুলছেন।
শিক্ষার্থীরা অনেক দেয়ালে নতুন করে লিখছেন দেশ সংস্কারের নানা শ্লোগান এবং বিভিন্ন শিল্পকর্মও আঁকছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার সকালের দিকে ভৈরব শহরের রেলওয়ে স্টেশন সড়কের দেয়ালে ও সেতুর পিলারে নানান প্রতিবাদী চিত্রকর্ম করতে দেখা যায়। এছাড়া গত কয়েকদিনে ভৈরব শহরের সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজ সংলগ্ন এলাকার দেয়াল, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনের প্লার্টফর্মের বিভিন্ন দেয়াল, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়কের রেলিংয়ে চিত্রকর্ম অংকন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসব কার্যক্রমে ভৈরবসহ ও আশপাশের অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
“দাসত্বের জন্য লড়াই করো না স্বাধীনতার জন্য লড়াই করো” এমনই একটি প্রতিবাদী চিত্রকর্ম অংকন করেছেন স্থানীয় শিক্ষার্থী শান্তি। তিনি বলেন, ভৈরব শহরের বিভিন্ন দেয়াল ও স্থাপনায় ছাত্র বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ভাইদের অবদান সবার কাছে রঙিন করে তোলার জন্য আমরা শহরের বিভিন্ন স্থাপনার দেয়ালে প্রতিবাদী চিত্রকর্মসহ নানান চিত্র অংকন করেছি।
আরেক শিক্ষার্থী মাশরাফি চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য সবাইকে এক যোগে কাজ করার আহবান জানাতে সড়কে এই চিত্রকর্ম অংকন করছি। যার মাধ্যমে সমাজ দেশ সব কিছুর পরিবর্তনে সকলের অংশগ্রহণ থাকে।
এছাড়া শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর গত কয়েকদিন যাবত ভৈরবের শিক্ষার্থীরা নিজ উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন সড়ক, থানা, পার্ক ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন করেছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় সকাল-সন্ধ্যা কাজ করছেন তারা।
(এসএস/এএস/আগস্ট ১৪, ২০২৪)