বাগেরহাটে পলাতক মহাপ্রতাবশালী শতাধিক জনপ্রতিনিধি
সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ দলীয় শতাধিক জনপ্রতিধি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে থাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সেবা বঞ্চিত হচ্ছে সাধারন মানুষ। বাগেরহাট জেলার ৩টি পৌরসভা, ৯টি উপজেলা ও ৭৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মেয়র ও চেয়ারম্যানরা সবাই আওয়ামী লীগ দলীয়। এরমধ্যে গণঅভ্যুত্থানের পর শরণখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত, সদ্য সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের প্রার্থীকে হারিয়ে বিদ্রোহী হিসেবে বিজয়ী ফকিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুজ্জামান বাবু ও চিতলমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান আলমঙ্গীর হোসেন সিদ্দিকী এলাকায় থেকে অফিস করলেও অন্যরা জনরোষের ভয়ে এখনো পলাতক রয়েছেন।
বাগেরহাটের জেলা, উপজেলা, পৌসভায় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের মহা প্রতাবশালী নেতা বাগেরহাটে পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, মোরেলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মনিরুল হক তালুকদার, বাগেরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, মোরেলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা, রামাপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদারসহ উপজেলাগুলোর ভাইস চেয়ারম্যান ও সব ইউপি চেয়ারম্যানসহ ইউপি সদস্যসহ শতাধিক এখনো পতলাতক রয়েছেন। গত ১৫ বছরেরও অধক সময় ধরে নিজ নিজ এলাকায় দন্ডমুন্ডের কর্তা এসব জনপ্রতিনিধিরা জনরোষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে থাকায় সাধারণ মানুষ এখন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।
(এস/এসপি/আগস্ট ১৩, ২০২৪)