তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদাত বরণ করেন। তাই দিনটি  অত্যন্ত বেদনার দিন। তারপর থেকে দিবসটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দিবসটি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন বলে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক এক প্রেস বিজ্ঞপিতে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ ভাবে সকল কর্মসূচি পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টুঙ্গিপাড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে জেলা আওয়ামী লীগ জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি গ্রহন করেছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭ টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো পতাকা উত্তোলন। এরপর দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হবে। সকাল সাড়ে ১০ টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া-মোনাজাত এবং পবিত্র ফাতেহা পাঠ করা হবে। বেলা ১১ টায় সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। আলোচনা সভা শেষে সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া এদিন দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে।

যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের অনুরোধ করে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক বলেন, আপনারা জানেন আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, ম্যুরাল ভাচুর, ৩২ নম্বরের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের হত্যা, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন, লুটপাট সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে। এতে অধিকাংশ নেতা দেশ ছাড়া। অনেকে আত্মগোপনে আছেন। এমতাবস্থায় বিদেশে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবস পালন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে সকল কর্মসূচি পালন করতে বলেছেন। তাই সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন ও মুজিব আদর্শের অনুসারীদের যথাসময়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। যারা এ কর্মসূচীতে আসতে পারবেন না। তাদের লংমার্চ করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের কর্মসূচীতে যোগ দিতে আহবান জানাচ্ছি।

(টিবি/এসপি/আগস্ট ১৩, ২০২৪)