শেখ ইমন, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজের বেশির ভাগ সভাপতি গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সভাপতির মৃত্যু, পলাতক বা যে কোন কারণে অনুপস্থিতির ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ। তারা সভাপতির পরিবর্তে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতার সীটে স্বাক্ষর করবেন।

এদিকে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার সংখ্যা রয়েছে ৬২৭টি। এর মধ্যে জেলায় মোট স্কুলের সংখ্যা ৪৮৮, কলেজ ২৭টি ও মাদ্রাসা ১১২টি রয়েছে।

ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বেশির ভাগ এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন আওয়ামীলীগ সমর্থক নেতাকর্মী। ছাত্র জনতার আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটলে জনরোষ এড়াতে জেলার এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার বেশির ভাগ সভাপতি পালিয়ে আছেন। এক সপ্তাহের বেশি তাদের কোন খোঁজ নেই। ফলে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

মহেশপুরের শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শওকাত আলী জানান, এমপিওভুক্ত কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার বেতন জটিলতা নিরসনে মন্ত্রণালয় থেকে আজই একটি চিঠি এসেছে। চিঠিতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন সীটে সাক্ষর করতে পারবেন। এই সার্কুলার জারি হওয়ার পর শিক্ষক কর্মচারীরা হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা আজহারুল ইসলাম জানান,‘এমন খবর তিনিও শুনেছেন। তবে যারা পলাতক সেখানে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। আপাতত জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ শিক্ষকদের বেতন সীটে স্বাক্ষর করবেন বলে তিনি জানান।’

(এসআই/এসপি/আগস্ট ১৩, ২০২৪)