সার-কীটনাশকের দাম কমানোর দাবি চাষিদের
সালথায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা
আবু নাসের হুসাইন, সালথা : কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে ফরিদপুরের সালথা উপজেলা অন্যতম। এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। বছরে তিনটি ফসল-পাট, পেঁয়াজ ও ধান, সমান তালে উৎপাদন হয়ে থাকে।
বর্ষা মৌসুমে এই উপজেলায় ১২ হাজার ২৯৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও বোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাট কাটার পরেই জমিগুলোতে ধানের বীজ বপন ও চারা রোপন এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যে ধানের গাছে মাঠ সবুজে ছেয়ে গেছে। তবে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় চিন্তিত চাষিরা। সার ও কীটনাশকের দাম কমানোর দাবী জানিয়েছেন অনেকেই।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কৃষক আলিমদ্দিন ও আবুল কালাম বলেন, এবছর পাটের ফলন কম, দামও কম। তাই ধান চাষ বেশি করেছি। মাঠে ধান গাছ খুব ভালো আছে। অতিরিক্ত পানি হয়ে ক্ষেত তলিয়ে না গেলে, এবার ধান ভালো হবে বলে আশা করছি।
ভাওয়াল ইউনিয়নের ধান চাষি কাইয়ুম মোল্যা বলেন, ক্ষেতে ধানের গাছ খুব ভালো আছে। তবে সার ও কীটনাশক এর দামটা একটু কম হলে কৃষকদের জন্য ভালো হতো। আমরা সরকারের কাছে দাবী করবো, কৃষকের দিক তাকিয়ে যেন সার ও কীটনাশকের দাম কমানো হয়।
উপজেলার বালিয়া বাজারের সার ব্যবসায়ী মোঃ মোশাররফ তালুকদার বলেন, সরকারী নির্ধারিত মুল্যে অনুযায়ী আমরা সার ও কীটনাশক বিক্রি করছি। বাড়তি দামে সার ও কীটনাশক বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, এবছর উপজেলায় ১২ হাজার ২৯৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। পাট কাটার পরেই ধানের বীজ বপন ও চারা রোপন শুরু হয়। আর ৪/৫ দিন পরেই ধানের চারা রোপনের কাজ পরিপুর্ণভাবে শেষ হবে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের সব ধরণের পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সরকারী নির্ধারিত দামের চেয়ে যদি কোন ব্যবসায়ী বেশি দামে সার ও কীটনাশক বিক্রি করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এএন/এসপি/আগস্ট ১৩, ২০২৪)