রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্ত্রী খাদিজা খাতুনের হাতে স্বামী হোসাইন মালিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার ভোর রাতে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের খোসালখালী গ্রামে এঘটনা ঘটে। পরে খাদিজা খাতুনকে আটক করে খুলনার হরিণটানা থানায় সোপর্দ করা হয়।

নিহত হোসাইন মালি (৩০) খোসালখালী গ্রামের আব্দুল হামিদ মালির ছেলে। তিনি পেশায় ঢাকায় রিকশাচালক ছিলেন। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

নিহতের পিতা আব্দুল হামিদ জানান, অভাব-অনটনের কারণে খাদিজার সাথে হোসাইন মালির ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকত। সোমবার রাতে হোসাইন মালি রাতের খাবার খেয়ে তার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুমাতে যায়। রাতের কোন এক সময় ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে খাদিজা তার স্বামী হোসাইনকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর ভোরে খাদিজা স্থানীয় মুন্সিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে বিআরটিসি বাস যোগে খুলনায় চলে যায়। তার কথাবার্তা ও আচরণ অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় খুলনায় পৌঁছানোর পর বাসের সুপারভাইজার তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজের কাছে হস্তান্তর করে। ছাত্র সমাজের কাছে খাদিজা তার স্বামী হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তারা তাকে খুলনা হরিনটানা থানায় সোপর্দ করে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সনজিত দাশ জানান, শ্যামনগর থানার কার্যক্রম চালু না থাকায় একজন উপ-পরিদর্শকের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

(আরকে/এসপি/আগস্ট ১২, ২০২৪)