রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : দ্রুতগামী মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আলী হোসেন নামের এক দ্বিতীয় শ্রেণীর  স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে তার নানী রুপবান খাতুন। 

আজ শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের দেবহাটার বহেরা উত্তরপাড়ার কলেজ শিক্ষক মনিরুল ইসলামের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন দুর্ঘটনা কবলিত মাইক্রোবাসের চালক পারভেজ হোসেন বাবুকে আটক করেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুপবান খাতুনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহত আলী হোসেন (৮) সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সেকেন্দ্রা গ্রামের শফিকুল গাজীর ছেলে। আহত রুপবান খাতুন(৫২) একই উপজেলার উত্তর বহেরা গ্রামের শওকত আলীর স্ত্রী। আটককৃত মাইক্রোবাস চালক পারভেজ হোসেন বাবু কালিগঞ্জ উপজেলার নারায়নপূর গ্রামের আবু হাসানের ছেলে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন উত্তর বহেরা গ্রামের রুপবান খাতুন জানান, তার নাতি আলী হোসেন সেকেন্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। শুক্রবার সকালে আলী হোসেন তার বাড়িতে আসে। সকাল ৯টার দিকে পুষ্পকাটি ভাটার মোড়ের সেলুন থেকে চুল কাটিয়ে তাকে নিয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে কলেজ শিক্ষক মনিরুল ইসলামের বাড়ির সামনে সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জগামি একটি দ্রুতগামি মাইক্রোবাস পিছন দিক থেকে তাদেরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে আলী হোসেন মারা যায়। আশঙাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

বহেরা ইটভাটা মোড়ের রমজান আলী, ও সুফিয়া খাতুন জানান, প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কালিগঞ্জের রতনপুর গ্রামের আব্দুর রউফের মালিকানাধীন মাইক্রোবাসের চালকের ঘুম আসার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলী হোসেন ও তার নানীকে চাপা দেয়। পরে মাইক্রোবাসটি রাস্তার উপরে থাকা রেন্ট্রি গাছের গুড়ির সাথে ধাক্কা মারে। আটক করা হয় চালক পারভেজ আলী বাবুকে। দেবহাটা থানায় কোন পুলিশ না থাকায় কালিগঞ্জের পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মকর্তা, বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাদের সাথে কথা বলে আর্থিক ক্ষতিপূরণের পর লাশ নিহতের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে মাইক্রোবাস ও চালককে।

(আরকে/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০২৪)