বাংলাদেশের দায়িত্ব নিচ্ছেন ‘জামাইবাবু’, পশ্চিমবঙ্গের শ্বশুরবাড়িতে আনন্দ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের। গঠিত হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তার শ্বশুরবাড়িতে।
ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটের তথ্যের বরাত দিয়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন জানিয়েছে, ড. ইউনূসের স্ত্রী আফরোজী ইউনূস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে তার স্বজনরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের রাণীগঞ্জ বাজারের কাছে লস্কর দিঘি এলাকা বড় হয়েছেন আফরোজী ইউনূস। এই এলাকায় তার অনেক আত্মীয়-স্বজনই বসবাস করেন।
সেখানে বসবাসরত আফরোজী ইউনূসের সম্পর্কের ভাই আসফাক হোসেন ওরফে বাবু মিয়া জানান, ড. ইউনূসের সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিবছরই বাংলাদেশেও যাওয়া-আসা করেন তারা।
ড. ইউনূস ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলবেন, এটাই তাদের চাওয়া বলে জানান আসফাক হোসেন। তিনি বলেন, “সবাই মিলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। সবাই ভালো থাকুন। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান সবাই মিলেমিশে থাকুন। আগে যেমন মিলেমিশে থাকতেন, সেভাবেই থাকুন। ওনার (ড. ইউনূস) কাছে এবং উপরওয়ালার কাছে আবেদন করবো, শান্তি ফিরে আসুক।”
আসফাক হোসেন বলেন, “জামাইবাবু খুব ভালো মানুষ। তিনি সবসময় গরিবদের জন্য চিন্তা করেন। গরিবদের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, তার কথা চিন্তা করেন। কাজেই তিনি তো লোকের ভালো করবেনই।”
একইসঙ্গে আসফাক হোসেন বাংলাদেশের পরবর্তী নেতার কাছে ভারত-বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য স্পট ভিসার ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, “ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এখন ভিসা পেতে ১৫ থেকে ২০ দিন লেগে যায়। তাতে খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। হয়তো কেউ অসুস্থ, দেখতে যাবো বলে ঠিক করেছি। ভিসা পেতে পেতেই তিনি চলে গেলেন। দেখা করতে পারলাম না। তার বদলে, বর্ডারে যাওয়ার পর, সেখান থেকেই ভিসা করে দিলে, সুবিধা হবে।”
(ওএস/এএস/আগস্ট ০৮, ২০২৪)