রিয়াজুল রিয়াজ, ফরিদপুর : দীর্ঘ আড়াই মাস কারাভোগের পর ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন অণু কারামুক্ত হয়েছেন।

আজ বুধবার ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এই নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতা। এ সময় শত-শত নেতাকর্মী তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাগত জানান।

এর আগে বুধবার সকালে সৈয়দ আদনান হোসেন অনুকে জামিন দেন ফরিদপুরের আদালত।

কারামুক্ত হয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় অনু জানান, 'স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশের ছাত্র-জনতা শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।’

এ সময় তিনি ফরিদপুর সহ দেশের সকল ছাত্র-জনতাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা বুক পেতে দিয়ে গুলি খেয়েছেন তবুও পিছু হটেননি, আপনাদের রক্তে আগুন জ্বলেছে, আপনারা আবার দেশটাকে স্বাধীন করলেন।

তিনি বলেন, দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বাঙালীরা মৃত্যুকেও অতিক্রম করতে পারে, সেটি আপনারা প্রমাণ করেছেন। এজন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। এখন একটু ধৈর্য্য ধরে কারও জান-মালের ক্ষতি না করে দেশের সংস্কারের কাজে সহযোগিতা করুন।

জেলা ছাত্রদল সভাপতি আরো বলেন, 'দেশমাতা খালেদা জিয়ার দিক নির্দেশনায় ও দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে আবারও গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে খুব শীঘ্রই। আপনাদের সাথে নিয়েই আমরা আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ'।

উল্লেখ্য, গত ২২ মে বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে ছাত্রদলের কর্মিসভা চলাকালে জেলা ছাত্রদল সভাপতি আদনান হোসেন অনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শহরের গোয়ালচামট এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পৌর মিলনায়তন থেকে এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে।

২০২২ সালের ৪ জুলাই ফরিদপুর সদরের বায়তুল আমান এলাকায় সবুজ মোল্লা (২৮) নামের এক তরুণের হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি দাবি করে আদনান হোসেন অনুকে ওই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

ওইদিন কর্মীসভা থেকে আদনান হোসেনকে পুলিশ সদস্যরা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে জেলা বিএনপি ও জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মী বাধা দেন। এ সময় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপনের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়।পুলিশ সদস্যরা জেলা ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান।

ওইদিন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, 'পুলিশ জানিয়েছে আদনান একটি হত্যা মামলার আসামি। তবে পুলিশ ওই সময় আমাদের কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখাতে পারেনি। পুলিশ চাইলে অন্য জায়গা থেকেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারতো।’

উদ্দেশ্যমূলকভাবে কর্মীসভা থেকে আমাদের জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাতে জেলা ছাত্রদলের আয়োজন বাধাগ্রস্ত হয় বলে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতা কিবরিয়া স্বপন।

(আরআর/এসপি/আগস্ট ০৭, ২০২৪)