উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন রশিদের নেতৃতে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর তাহেরপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে পাকবাহিনীর প্রচুর ক্ষতি হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।

৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর মানিকগঞ্জ ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাবিনিময় হয়। কয়েক ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা মানিকগঞ্জ ঘাঁটি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা মানিকগঞ্জ ঘাঁটি দখল করে এবং বহু মাইন ও গোলাবারুদ তাদের হস্তগত হয়।

ক্যাপ্টেন আমিন আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৮ম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্রেভো ও ডেল্টা কোম্পানীর যোদ্ধারা পাকবাহিনীর নকশী বি ও পি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনী ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় এবং অনেক সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ও ক্যাপ্টেন আমিন আহমদ চৌধুরীসহ কিছু যোদ্ধা আহত হন।

জাতিসংঘের উদ্যোগে ঢাকায় ১৫৬ জনের একটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক প্রতিনিধি দল মোতায়েনের বিষয়ে পাকিস্তান ও জাতিসংঘের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ভারত পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন সংক্রান্ত জাতিসংঘের মহাসচিব উ‘থান্টের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।

প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.এন.এম ইউসুফ ঢাকায় এক দলীয় কর্মী সমাবেশে দলের সদস্যদের প্রতি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনসাধারণ বুঝতে পেরেছে, দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) ফ্যাসিষ্ট তৎপরতাই আমাদের বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

(ওএস/এএস/আগস্ট ০৩, ২০২৪)