‘সোনার বাংলা গড়তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার বিকল্প নেই’
একে আজাদ, রাজবাড়ী : স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় অর্থনীতিতে, বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৎস্য খাতের ভূমিকা হবে অনন্য অসাধারণ।
স্মার্ট ব্যবস্থা প্রয়োগের জন্য মৎস্য খাতে বিশাল সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র থেকে শুরু করে উন্মুক্ত ও বদ্ধজলাশয়ে মৎস্য খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। মাছের উৎপাদন, আহরণ, পরীক্ষা, বিপণন ও বহুমুখী ব্যবহারে স্মার্ট পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজবাড়ির পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধূরী। বুধবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন,মৎস খাতে উদ্যোক্তা পাওয়া গেলে তাকে স্বাগত জানানো হবে এবং এ ব্যাপারে তাকে সব ধরনের সহযোগিতাও করা হবে। মৎস্য খাত আজ আর গতানুগতিক কোন বিষয় নয়। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের খাদ্য উপাদান, মাছ চাষের জন্য জলাশয়ের পানির উপাদান সব নিরাপদ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে। মাছের গতানুগতিক ব্যবহারের বাইরে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্যজাত বিভিন্ন খাবার তৈরি করতে হবে। মাছ থেকে পুডিং, বিস্কিট, চকলেট বা অন্য কোন সুস্বাদু খাবার তৈরি করলে সেটা নতুন প্রজন্ম সহজেই মৎস্যজাত খাবার গ্রহণ করবে।
র্যালির মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া জাতীয় মৎস সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য 'ভরব মাছে মোদের দেশ, গড়ব স্মার্ট বাংলাদেশ'। সকালে পাংশা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে একটি র্যালি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর সাদিক চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো, বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একেএম সাইফুল মোর্শেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা পারভিন ইতি, মৎস্য কর্মকর্তা সাইদ আহমেদ।
এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা মৎস্যজিবি, মৎস্য চাষি ও মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত অনান্য সুফলভোগিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে মৎস উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
(একে/এএস/জুলাই ৩১, ২০২৪)