স্টাফ রিপোর্টার : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একজন মুক্ত মানুষ। এই মুক্ত মানুষকে কীভাবে মুক্ত করবো? আমি বুঝি না। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, দেখেন, আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না, সেটা হচ্ছে, খালেদা জিয়া মুক্ত। এই মুক্ত মানুষকে কীভাবে মুক্তি দেব? আমি বুঝে উঠতে পারছি না, এখানেই আমার বক্তব্য শেষ।

গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলছে। এ নিয়ে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়াও আরো দুইটি ইস্যুকে সামনে রেখে বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তুলতে চান৷ ভারতের সঙ্গে রেল ট্রানজিট এবং দুর্নীতি-এই দুটি ইস্যুকে তারা সামনে আনতে চান৷ এ নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গেও কথা বলছেন দলের নেতারা৷

বিএনপির এক নেতা জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি দলের যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন৷ ওই বৈঠকেই দলের সামনের দিনের বেশ কিছু আন্দোলন কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়েছে৷

তারা বলেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, যেকোনো সময় তার জীবনহানি হতে পারে৷ কিন্তু আদালতের দোহাই দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না৷ সে কারণে এখন রাজপথে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে৷

খালেদা জিয়ারে হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে৷ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত কারাবন্দী হন খালেদা জিয়া৷ দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দী ছিলেন তিনি৷ তার পরিবারের করা একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়৷ তখন থেকে ছয় মাস পরপর তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার৷

খালেদা জিয়া এখন আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন৷

বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিয়ে সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে বাধা দিচ্ছে৷ এর মাধ্যমে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে৷ খালেদা জিয়াই হলেন এই সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী৷ ফলে তাকে এইভাবে তিলে তিলে শেষ করে দেয়া হচ্ছে৷ দল তাই তার মুক্তির জন্য সর্বাত্মক আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এর সঙ্গে অন্য আরো ইস্যু নিয়ে আন্দোলন জোরদার করা হবে৷ শনিবারের সমাবেশের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এরমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে৷

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৯, ২০২৪)