অপহরণের পর ধর্ষণ, হাসপাতালে ভর্তি স্কুলছাত্রী
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর থেকে এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের সূত্র ধরে প্রেমিক অপহরণ করে তুলে নিয়ে যান ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে। সেখানে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পরে মারধর করে ঐ স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন প্রেমিকসহ তার পরিবারের লোকজন।
এই ঘটনার পর শনিবার (২৯ জুন) রাতে ঐ স্কুলছাত্রীকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত প্রেমিক আল-আমিন সরদার (২২) ঢাকার কদমতলীর শ্যামপুর এলাকার জুয়েল সরদারের ছেলে। কাজের সুবাধে আল আমিন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়াতে বসবাস করেন।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের নবম শ্রেণীর ছাত্রী প্রায় ৮ মাস আগে তার এক বান্ধবীর বিয়েতে যান। সেই বিয়েতে বান্ধবীর মামাতো দেবর আল-আমিন সরদারের সাথে পরিচয় হয়। পরে অভিযুক্ত আল-আমিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় ঐ নবম শ্রেণীর ছাত্রীর। এরই সূত্র ধরে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আল-আমিন মাদারীপুরে আসেন। দুইজনে দেখা করেন। পরে একপর্যায় আল-আমিন জোর করে ঐ ছাত্রীকে ঢাকায় নিয়ে যান। আল আমিন বিয়ের আশ^াস দিয়ে একটি রুমে নিয়ে ঐ ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে আল-আমিন ও তার পরিবারের লোকজন ঐ ছাত্রীকে বেদম মারধর করেন। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে শনিবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীকে। বাড়ি এসে পরিবারের কাছে বিষয়টি জানালে শনিবার রাতে ঐ ছাত্রীকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে ভয় আর আতঙ্কে কাতরাচ্ছেন ঐ ছাত্রী। এ সময় কেদে কেদে ঐ ছাত্রী বলেন, আমাকে জোর করে আল-আমিন ঢাকাতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বিয়ের নাটক করে আল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন। পরে আল-আমিন আমাকে একটি রুমে আটকে শারিরিক ও পাশবিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে তার পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করে মাদারীপুরে পাঠিয়ে দেন। এই ঘটনার বিচার চাই।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের সাথে যা ঘটেছে, তা যেন আর কোন মেয়ের সাথে না ঘটে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এখনও কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়নি। তবে আমি যতটুকু জেনেছি ঘটনাটি ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘটেছে। তাই সেখানেই মামলা হবে।
(এএসএ/এসপি/জুন ৩০, ২০২৪)