পটুয়াখালী ১৩২০ মেগা. তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত
স্টাফ রিপোর্টার : পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। সেপ্টেম্বরে এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর ডিসেম্বরে সংযুক্ত হবে বাকি ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সে লক্ষে চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ।
এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হওয়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য এটি মাইলফলক বলে মনে করছেন এই প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট চীনের রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠান নোরিনকো ইন্টারন্যাশনাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়ত্ব প্রতিষ্ঠান রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরএনপিএল) এর যৌথ বিনিয়োগে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
পটুয়াখালী জেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে ৯১৫ একর জমির উপর ২৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে এর নির্মাণ কাজ শুরুর পর দেখা দেয় করোনা প্রকোপ। সেসব নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে টারবাইন, চুল্লি, কোল স্টোর, স্টিল স্ট্রাকচার, বয়লার, ওয়াটার ফিড ও জেনারেটর বসানোর কাজ। বর্তমানে দ্রুত গতিতে চলছে কনস্ট্রাকশন ও রংয়ের কাজ। ৪ হাজার বাঙালি ও দেড় হাজার চাইনিজ শ্রমিক এ নির্মাণ কাজ করছেন। এরমধ্যে বয়লারে ফায়ারিংও করা হয়েছে। মোট কথা বর্তমানে বিদুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত এ পাওয়ার প্লান্ট।
এ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে ২০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন, ৪ শ‘ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন ও পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলায় একটি সুইচিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। এ সুইচিং স্টেশনের কাজও ৯২ ভাগ শেষ। বর্তমানে শেষ পর্যায়ের টেস্টিং ও কমিশনিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। জুলাই মাসে ব্যাক ফিড পাওয়ার পেলে সেপ্টেম্বরে প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট ও ডিসেম্বরে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করতে চায় প্রকল্পটি।
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (তড়িৎ) আসিফ আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
অপর নির্বাহী প্রকৌশলী (মেকানিক্যাল) শওকত ওসমান বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের প্রথম ইউনিটের সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা বয়লারে ফায়ারিংও করেছি। আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত।
পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো.আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমরা আশা করছি, জুলাই মাসে ব্যাক ফিড পাওয়ার পাবো। এ ব্যাক ফিড পাওয়ার পেলে সেপ্টেম্বরে ৬৬০ মেগাওয়াট ও ডিসেম্বরে আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করতে পারবো।
(ওএস/এএস/জুন ২২, ২০২৪)