মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগের মাধ্যমে চালু ও নিরাপদ চিকিৎসা সেবার দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারুণ্যের প্রভাত ইউথ অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ্। তিনি গত তিনদিন ধরে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সারে ৬টা পর্যন্ত মাদারীপুরের শকুনি লেকপাড়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। পরে তার সাথে অনেকেই একত্মা প্রকাশ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদারীপুরের ঐতিহ্যবাহী শকুনি লেকপাড়ে আসা বিভিন্ন দর্শার্নীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই দাবীর সাথে একাত্মতা পোষণসহ জনমত তৈরি জন্য মাসুম বিল্লাহ এককভাবেই এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে প্রতিদিন শকুনী লেকপাড়ে বিকেল ৫টা থেকে সারে ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তাকে দেখে অনেকেই হাতে প্লেকার্ড নিয়ে দাড়িয়ে একত্মা প্রকাশ করতে দেখা যায়। এসময় তারুণ্যের প্রভাত ইউথ অর্গানাইজেশনসহ নিরাপদ চিকিৎসা চাই (নিচিচা), তারুণ্য পরিবার, পাঁচ টাকায় মাস, মাতৃভূমি চেতনা, বন্ধু মহল, অদম্য মাদারীপুর, স্বপ্ন চূড়া ফাউন্ডেশন, ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি), দুরন্ত মাদারীপুরসহ বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংগঠনের সদস্যরা অংশ নেন।

মাদারীপুরের শকুনি লেকপাড়ে ঘুরতে আসা ফারহানা আক্তার ইমু বলেন, ‘২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগের মাধ্যমে চালু এবং নিরাপদ চিকিৎসা সেবার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি’ এমন স্লোগানে প্লেকার্ড হাতে নিয়ে গত তিনদিন ধর দাড়িয়ে থাকতে দেখিছি এক যুবককে। ব্যাপারটি আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ মাদারীপুরের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল থাকলেও তা এখনও পুর্ণাঙ্গভাবে চালু না হওয়ায় সাধারণ রোগীদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাই আমিও ঐ যুবকের সাথে একত্মা প্রকাশ করে হাসপাতালটি পুর্ণাঙ্গ চালুর দাবী করছি।

তারুণ্যের প্রভাত ইউথ অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ বলেন, চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার, আমি আমার অধিকার আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে জনমত গঠনের লক্ষ্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট মাদারীপুর সদর হসপাতাল পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগের মাধ্যমে চালু এবং দালাল মুক্ত নিরাপদ চিকিৎসা সেবাই আমার মুল দাবি। তাছাড়া মাদারীপুর সদর হাসপাতালে দালালদের একটা সিন্ডিকেট আছে, যারা বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে প্রফিট নিয়ে রোগীদেরকে প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তির জন্য উদ্বুদ্ধ করেন, মাদারীপুরের সরকারি হাসপাতালে সেবা না পাওয়ার এটাও একটা কারণ হতে পারে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব আছে বলে আমি মনে করি।

নিরাপদ চিকিৎসা সেবার মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি এ্যাড. মশিউর রহমান পারভেজ বলেন, আমরা মাদারীপুরের স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনগুলো অনেক আগে থেকেই ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালটি পুর্ণাঙ্গ চালু দাবী করে আসছি।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, জনবল কম থাকায় মাদারীপুরের ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।

(এএসএ/এসপি/জুন ১৬, ২০২৪)