লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি :নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক মামলা দায়েরের প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

গত শুক্রবার সকালে লক্ষীপাশা নিউজ রুমে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোঃ নজরুল ইসলাম শেখ।পেশায় তিনি একজন কৃষক।

লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করে বলা হয়, লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউপির রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইব্রাহিম মোল্যার ছেলে মোক্তার মোল্যা, চর শালনগর গ্রামের আবু সাইদ মোল্যার ছেলে পিকুল মোল্যা এবং একই গ্রামের আবু বক্কার মোল্যার ছেলে জাহিদ ওরফে ফুল মিয়া চক্রের সাথে নজরুল শেখের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

এ নিয়ে আদালতে দায়েরকৃত মামলা গুলি বিচারাধীন রয়েছে। এ বিরোধের জের ধরে ওই কুচক্রী মহল উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের শাহাবুল মোল্যার বাড়িতে গত ১৬ অক্টোবর সংগঠিত চুরির মামলায় চর শালনগর গ্রামের মোজাম্মেল শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম ও আকমল শেখের ছেলে হাসু শেখের নামে লোহাগড়া থানায় ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে একটি মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং- ১৮। তাং-১৯/১০/১৪।

দায়ের কৃত মামলায় হাসু শেখের ভাই হাসিব শেখ, সুর্য শেখের ছেলে ও ইউপি মেম্বর মাহমুদ শেখ ও সাহেব আলী শেখের ছেলে বুলবুল শেখকে পুলিশ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।মামলা দায়েরের পর আসামী নজরুল ইসলাম শেখ ও হাসু শেখ হাইকোর্ট থেকে গত ১০ নভেম্বর জামিন নিয়েছেন।

জামিন নেওয়ার পরও রেহাই পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। ওই চক্রের যোগসাজগে লাহুড়িয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই সাইফুদৌল্লাহ গত ১৩ নভেম্বর আকমল শেখের ছেলে হাসু শেখকে তার বাড়ি থেকে আটক করেন।

আটকের পর নড়াইল সদর এসআই আজিজুর রহমান ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে আটক হাসুকে ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে নড়াইল সদরের রায়খালী গ্রামে সংগঠিত একটি ডাকাতি মামলায় জেল হাজতে প্রেরন করেন। বর্তমানে হাসু শেখ জেল হাজতে রয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে নজরুল ইসলাম আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ চক্র জমা-জমির মামলায় হেরে যাওয়ার পর আমি সহ আমার লোকজনদের পুলিশ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তিনি পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আনোয়ার হোসেন, জাহিদুল ইসলাম,মিলু ঠাকুরসহ প্রমুখ।


(আরএম /এসসি/নভেম্বর২১,২০১৪)