চড় খেয়ে সুর পাল্টালেন কঙ্গনা!
বিনোদন ডেস্ক : ভারতের নবনির্বাচিত বিজেপি-দলীয় এমপি ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের চড়কাণ্ডে সরগরম নেটদুনিয়া। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিআইএসএফের ওই নারী কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি চাকরি থেকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার পর কঙ্গনা জানিয়েছিলেন ভাবনার পুরোটা জুড়েই তার রাজনীতি। কিন্তু ভোটে জেতার পর গালে চড় পড়তেই পাল্টে গেল সুর। এবার তিনি জানালেন, রাজনীতির চেয়ে অভিনয় সহজ। এক পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী।
কঙ্গনা বলেন, এই প্রথম নয় যে, আমাকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলাম। 'গ্যাংস্টার'-এর পর আমাকে ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট দেওয়া হয়েছিল। আমার প্রপিতামহ কম করে তিনবার বিধায়ক হয়েছিলেন। দেখুন, আপনি যদি এমন একটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হন যেখানে আপানার পরিবারের অন্য কেউ সাফল্য পেয়েছিলেন, সেখানে স্থানীয় নেতারা আপনার কাছে তো আসবেই এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে। এটা খুবই স্বাভাবিক। শুধু আমি নয়, আমার বাবাও এই অফার পেয়েছিলেন। আমার দিদিও অ্যাসিড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর তাকেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাই আমাদের কাছে রাজনৈতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব পাওয়াটা এমন কিছু বড় কথা নয়...আমি যদি এতে আগ্রহী না হতাম, তাহলে আমাকে এত কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হতো না।
এ সময় তিনি বলেন, আমি আমার প্যাশনকে ফলো করেছিলাম। আর ছবির ক্ষেত্রে আমি যে শুধু অভিনয় করেছি তেমনটা নয়, সঙ্গে লেখক, পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছি। সেখানেও যতটা একাত্ম হয়ে কাজ করেছি, এখানেও তার ব্যতিক্রম হবে না। এখানেও আমাকে যদি মানুষের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দিতে হয়, সেই ভাবেই কাজ করব। তবে এটা আমি অস্বীকার করব না যে রাজনীতি অভিনয়ের তুলনায় বেশ কঠিন একটা বিষয়।
প্রসঙ্গত, মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ের মালা পরেছেন কঙ্গনা। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংয়ের পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ পোক্ত। মা-বাবা দুজনেই হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হিমাচলে। ভোটের আগে অনেকের ধারণা ছিল প্রতিদ্বন্দ্বীর টিকিটি ছুতে পারবেন না। তবে ভোটের হিসাব বলেছে অন্য কথা। বিক্রম ধরাশয়ী হয়েছেন নায়িকার কাছে।
(ওএস/এসপি/জুন ১৩, ২০২৪)