নবারুণ দাশগুপ্ত, টঙ্গীবাড়ী : ২০২১ খালের ২৭ অক্টোবর গভীর রাতে টঙ্গীবাড়ি বড়লিয়া ফার্নিচার  দোকান থেকে তৈলকাই গ্রামের আলী হোসেন ও ছেলে মেহেদী হাসান শুভ ও ছোট ছেলে বাড়ি ফেরার পথে বড়ই টু বালিগাঁও রাস্তার মধ্যে তৈলকাই ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতের নির্মম প্রহারে মৃত্যু হয় আলী হোসেন শেখের। প্রাণ নিয়ে বেঁচে আসে শুভ ও তার ছোট ভাই। ঝুলন্ত রশি দিয়ে গতিরোধ করে ডাকাত দল বাপ বেটা কে বেঁধে ফেলে এবং তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফিরিয়ে নেয়। কৌশলে শুভ ছুটে এসে চিৎকার ও থাক ডাক দিলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং তার বাবাকে বাধা মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সয়ে আনতেই মৃত্যু হয় পিতার। এ নিয়ে টঙ্গীবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মেহেদী হাসান শুভ।

মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৫/৬ থেকে জন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোল্লা সোহেব আলী মামলাটি প্রাথমিক তদন্ত শেষে কোর্টে পাঠালে পিবিআই এর উপর তদন্তভার দেয়া হয়। তিন বৎসর পার হবার পরেও মামলার নেই কোন অগ্রগতি হয়নি। এমনকি বাদী শুভ নিজে বহুবর পিবিআই মুন্সিগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ আদালতে গিয়ে কোন হদিস পাইনি তার বাবার হত্যা মামলার।

শুভ বলেন, আমার পিতা হত্যার মামলাটি থমকে গেছে, আমি এবং আমার বৃদ্ধ মা বহুবার কোট এবং পিবিআই অফিস দৌড়ঝাপ করেছি কিন্তু কোন সুফল দেখতে পাচ্ছিনা।

তিনি আরও বলেন সেদিন রাতে আমি আমার বাবা ও আমার ছোট ভাই একি হুন্ডায় ছিলাম। রসি
লাগিয়ে হুন্ডার প্রতিরোধ করে এ ডাকাতি করা হয়। আমার আব্বাকে পানিতে ফেলে কাঠের ডাসা ও লোহার রড দিয়ে গুরুতর যখন করা হয়। আমরা দুই ভাই দৌড়ে না পালালে আমাদের কেউ হত্যা করা হত, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা কান্ড। নইলে আমরা যে এত রাতে ঢাকা থেকে টঙ্গী বাড়ি এসে তারপর বাড়িতে আসবো এটা কারো জানার কথা নয়।

শুভর মা জানান, আমার স্বামী মারা যাবার পর আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। ছেলেরা কাজ করি আর আমিও অসুস্থ তাই আমাদের মামলার পেছনে দৌড়ানোর মত সময় বা টাকা কোনটেই নেই। আমরা চাই সত্য প্রকাশিত হোক এবং হত্যাকারী কে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হউক। পিবিআই কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে চিন্তার কারণ নেই।

(এনডি/এসপি/জুন ০৯, ২০২৪)