একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের দড়ি বাংলাট গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে  ২ জনকে রড় হাতুড়ি চাইনিজ করাল  দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। একই সাথে অন্তত  ৪ টা বাড়ি ভাংচুর করা করা হয়েছে। আহতরা হলেন বাংলাট গ্রামের নায়েব শিকদার ও আজিজ শিকদার। আহতদের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাদের ২ জনইকে রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আহত নায়েব শিকদারের ভাই আজিজুল শিকদার বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞত ৫/৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে পাংশা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাংশা মডেল থানার এস আই মোঃ ওয়াইদুর রহমান বলেন- মামলা হওয়ার পরপরই আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি আসামীরা গা ঢাকা দিয়েছে।

মামলার পর থেকে আসামীরা আত্বগোপনে গেলেই ভিতরে ভিতরে সংঘটিত হচ্ছে বলে বাদীর লোকজন জানিয়েছেন তারা আবারও হামলা করতে পারে এমন আশংস্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি।

জানা গেছে বুধবার রাত ৮ টার দিকে পার্শ্ববর্তী মাজাইল বাজার থেকে নিজ বাড়িতে আসার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা শহিদুল ইসলাম অরফে সাইদুল্লাহ, হাকিম মন্ডল, আনিছুল্লাহ মন্ডল,হামিদুল মন্ডল,রাসেল মন্ডল,সাত্তার মন্ডল, জসিম মন্ডল, আক্তার মন্ডল,আবু তালেব মন্ডল, আজাদ মন্ডল সাইদুল ইসলাম, দিলবার মন্ডল,কফিল উদ্দিন, ইসলাম মন্ডলসহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা আজিজ শিকদার ও নায়েব আলী শিকদারকে লোহার রড় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে ওই দুর্বত্তরা বাংলাট গ্রামে ৪ টি বাড়িতে হামলা চালায় ভাংচুর শেষে তারা লুটপাট করেছে বলে আজিজ শিকারের পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে দির্ঘদিন ধরে দলীয় ও সামাজিক বিরোধ ও জমি সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলমান ছিল, ওই এলাকায় সামাজিক ভাবে নানা উত্তেজনা চললে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘস বেধে যায়।
এ সংবাদ লেখাকালিন আহত নায়েব আলী ও আজিজ শিকার ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এখনও তাদের অবস্থা আশস্কা মুক্ত নয় বলে আহতদের স্বজনরা জানিয়েছেন।

পাংশা থানার অফিসার্স ইনচার্জ স্বপন কুমার মজুমদার বলেন এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে আমাদের থানা পুলিশ কাজ করছে। এলাকায় শান্তি ও আইন শৃংখলা সমুন্নত রাখতে পাংশা থানা পুলিশ কাজ করছে।

(একে/এএস/জুন ০৭, ২০২৪)