এটিএম রাশেদুল ইসলাম, বগুড়া : বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় আবাসিক হোটেলে নৃশংসভাবে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। 

রবিবার (২ জুন) দুপুর বারোটার দিকে উপজেলার বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার ৩০১ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার নারুলি ধাওয়াপাড়া এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে আশা মনি (২১) ও আশা মনির ১১ মাস বয়সী শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল কাফি। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত আশা মনির স্বামী আজিজুল হককে (২৩) আটক করেছে। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর আগে আজিজুল হকের সঙ্গে বিয়ে হয় আশা মনির। সম্প্রতি দুই মাসের ছুটি নিয়ে তিনি বগুড়ায় আসেন। এরপর গত ৩০ মে তিনি তার শ্বশুরবাড়ি বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় বেড়াতে আসেন। বেড়ানোর কথা বলে গত শনিবার (১ জুন) স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হয়ে যান আজিজুল হক। এরপর রবিবার (২ জুন) সন্তানসহ আশা মনি খুন ও আজিজুল হক আটক হওয়ার খবর পান নিহতের পরিবার।

নিহত আশা মনির পরিবারের দাবি, বিয়ের সময় তারা আজিজুল হককে মোটা অংকের টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও তিনি নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন।

ঘটনাস্থল শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর স্ত্রী ও প্রায় এক বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে তৃতীয় তলায় একটি কক্ষে ওঠেন আজিজুল হক। হোটেল থেকে তিনি রাত এগারোটার দিকে বের হয়ে যান। এরপর ২ জুন সকাল এগারোটার দিকে হোটেল কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন আজিজুল হক। কিন্তু তখন তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় সন্দেহ হলে আমরা তাকে আটক করে থানায় খবর দেই। পুলিশ এসে দুপুর পৌনে বারোটার দিকে ওই কক্ষের ভেতরে আজিজুল হকের স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহ এবং বাথরুমে বস্তাবন্দি মাথাবিহীন অবস্থায় সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে।

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দাবি, পাশের করতোয়া নদীতে তিনি তার সন্তানের মাথা ফেলে দিয়েছেন। নিহত শিশুর মাথা খোঁজা হচ্ছে।

(এটিআর/এসপি/জুন ০২, ২০২৪)