লতিফ নুতন, সিলেট : হঠাৎ করে বন্যায় সিলেট-তামাবিল (জাফলং) মহাসড়ক দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত সোমবার থেকে অবিরাম ঝড়বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার বাংলা বাজার, রংপানি ও বিরাইমারা এলকায় সিলেট তামাবিল মহাসড়কের উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

আকস্মিক বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী বিজিবি, জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ টিম, ফায়ারসার্ভিস, আনসার বিডিপি এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, ছাড়াও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন, সামাজিক, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে পানি বন্দী এলাকাগুলো পরিদর্শনে করছেন সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজা আক্তার সিমুল। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া সহকারী কমিশনার ভুমি ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া, মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম পিপিএম।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে সারি নদী ও জাফলং পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নিজপাট, জৈন্তাপুর, দরবস্ত ও চারিকাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। বুধবার মধ্যেরাত পর্যন্ত -ফেরিঘাট বার বন্দ, ডুলটিরপাড়, চাতলারপাড়, নলজরুরী, লক্ষকিপুর, ঘরর পাড়, খারুবিল, কদমখলা, ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপররাখোলা,বারগাত্তি, বিড়া খাই, কাটাখাল, বাউরবাঘ সহ বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধারে কাজ চালানো হয়।

জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসন, ফায়ারসার্ভিস, সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সামাজিক রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন। বুধবার রাত ১১ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে অবস্থান ও পরিদর্শন করেন জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া, সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া, সমাজসেবী রোটারিয়ান আব্দুল গফফার চৌধুরী খসরু, নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান সাদ উদ্দিন সাদ্দাম, জৈন্তাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী মেম্বার প্রমূখ।

পানিবন্দী হয়ে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কাজ চলছে বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবং আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে মানুষজন অবস্থান নিচ্ছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে শালিক রুমাইয়া জানান, সেনাবাহিনী বিজিবি ফায়ারসার্ভিস, পুলিশ উদ্ধার কাজ করছে, আমি সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের চারিকাটা, নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ প্রস্তুত রেখেছি। পাশাপাশি উপজেলার সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের এই সংকটময় সময়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় এই পরিস্থিতি মোকেবেলা করতে হবে।

(এলএন/এসপি/মে ৩০, ২০২৪)