কেন্দুয়া প্রতিনিধি : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের দুইগ্রুপের লোকদের  মধ্যে পুর্বশক্রতা ও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আব্দুল কাইযুম নামের এক কৃষক নিহত হন।আহত হন অর্ধশতাধিক।

সংঘর্ষের পর আব্দুল কাইয়ুম নিহত হওযার খবর ছড়িয়ে পরলে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে শুরু হয় হামলা ভাংছুর লুটপাট।এসময় বেশকয়েকটি বাড়িঘর ভাংছুর ও লুটপাট করা হয়। এছাড়া কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে গিয়ে ও প্রতিপক্ষের লোকদের সাথে সংঘর্ষ প্রাক্কালে পুলিশ ম্যাজিষ্ট্রেট যৌথ অভিযান চালিযে ৩২ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পরিস্থিতি সামালদিতে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক তালুকদারের উপস্থিতিতে মুচালেকা নিয়ে ৩০ জনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।একই সাথে দুইজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার সকালে নেত্রকোনা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বিষ্ণুপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ মেম্বার, হাশিম উদ্দিন গংদের সাথে হুমায়ুন, হাদিছ,ঝন্টু গংদের সাথে পুর্বশক্রতার জের ও ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ২৫ মে শনিবার সন্ধ্যার আগে দুই গ্রুপের শতশত লোক লাঠি,বল্লমসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্রনিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।

কান্দিউড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম বাবুল জানান, প্রায় দুইমাস আগে গ্রাম্য সালিশির মাধ্যমে বিরোঃধ মিমাংসা করা গয়েছিল। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তাদের মধ্যে শক্রুতা লুকায়িত ছিল।

গত সপ্তাহে দুই গ্রুপের লোকেরা পাল্টাপাল্টি গরু জবাই করে খায়। শনিবার দুই গ্রুপের যুবক ছেলেরা ফঁটবল খেলার আয়োজন করে।কিন্তু খেলা শুরুর প্রাক্কালে আব্দুল লতিফ গ্রুপের লোকেরা ফুটবল খেলা অনুষ্ঠানে বাধা দেয়।এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িযে পরে।

কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হুসাইন মোহাম্মদ ফারাবী বলেন, সংঘর্ষ পরবর্তী লুটপাট ও হাসপাতালপ্রঙ্গনে সংঘর্ষ থামাতে ৩২ জনকে আটক করা হয়েছিল। ম্যাজিষ্ট্রটের উপস্থিতিতে মুচালেকা নিয়ে ৩০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয।দুইজনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠাণো হয।সংঘর্ষ এলাকায অতিরিক্ত পুলিশ মোতাযেন রয়েছে।

ময়নাা তদন্ত শেষে জানাযা হবে আজ ৭ টায।এরপর লিখিত অভিয়োগ পেলে সব ঘটনার আইনগত পদক্ষেগ নেয়া হবে।

(এসবি/এসপি/মে ২৬, ২০২৪)