লক্ষ্মীপুরে দোকান ঘর বিক্রির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা
শিমুল সাহা, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর দাসের হাট বাজারে বাজারে দোকান ঘর বিক্রির নামে বিভিন্নজন থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সুমি বেগমের বিরুদ্ধে। তার অভিনব প্রতারনায় অতিষ্ট প্রবাসীসহ স্থানীয় কয়েকটি পরিবার। তার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার এই কৌশলে অনেকে ধরাসায়ী। ভুক্তভুগীরা প্রতারনা বুঝতে পেরে টাকা ফেরত চাইলে সে নানা টালবাহানা করে। ইতিমধ্যে ভুক্তভুগী এক প্রবাসী প্রতারণার স্বীকার হয়ে সুমি বেগমের স্বামীর ৩টি দোকান ঘর দখল নিতে বাধ্য হয়। এনিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডিতা ও মামলা হামলার ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলা দাসের হাট বাজারে এ ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রতারক সুমি বেগমের স্বামী প্রবাসে থাকে। সে পূর্ব সৈয়দপুর আমজাদ মিয়াজী বাড়ি প্রবাসী আবদুল বাকীর স্ত্রী।ভুক্তভুগী প্রবাসী রহিম ও অন্যান্যরা একই বাড়ির ও এলাকার।
ভুক্তভুগী প্রবাসী রহিমের ভাই রহমান জানায়, প্রায় এক বছর আগে বাকীর নগদ টাকার প্রয়োজন হওয়ায় সে বাজারের সাড়ে ৩ শতক জমি (৩ টি ঘর) বিক্রি করার প্রস্তাব করে। এতে আমার ভাই প্রবাসী রহিম কেনার আগ্রহ দেখায়। এবং তাদের মধ্যে কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। যেহেতু তারা আমাদের আত্মীয় এবং একই বাড়ির তাই কোন কাগজপত্র ছাড়াই বাকীর স্ত্রী সুমিকে টাকা দেই। ঐ সময় বাকীর যখনই টাকার প্রয়োজন হত তার বাড়িতে টাকা দিয়ে আসতাম। এই সুযোগে বাকীর স্ত্রী সুমি নানা অজুহাতে টাকা নেয়। আমরাও সরল মনে তার স্বাক্ষর নিয়ে টাকা দেই। এরই মধ্যে ৪৩ লাখ টাকা নিয়ে যায় সুমি বেগম। পরে লোকজনের কাছে শুনি সে আরো দু'একজনের কাছ থেকে দোকান দেখিয়ে টাকা নিয়েছে। তখনই আমি প্রবাসী বাকীর পক্ষে তার স্ত্রীর সাথে একটি বায়নাচুক্তি করি এবং সেটা কোর্ট এফিডেভি করি। এখন যখন জানলাম সে আমাদের বাড়ির ৩ জন থেকে দোকান দেখিয়ে টাকা নিয়েছে তখন আমরা নিরুপায় হয়ে দোকান ঘর দখল নেই। কারন এর মধ্যে তারা যদি অন্য কোথাও বিক্রি করে দেয়। তাহলে আমাদের এতগুলি টাকার কি হবে। এখন সে বিভিন্ন জনের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করছে। সে থানায় জিডি করে। কোন ফল না পেয়ে আবার কো মামলা করে হয়রানী করছে। আমরা তার হাত থেকে নিস্তার চাই। হয় দোকান দাও না হয় টাকা ফেরত দাও। আবদুল বাকী প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী বেপরোয়া চলাফেরা করে। এটা এলাকার সবাই জানে।
অভিযুক্ত সুমি বেগম জানায়, রহিমের সাথে ১শতক জমি বিক্রি বাবত ২০ লাখ টাকা কথা হয়। ১২ লাখ টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করে। এর কিছুদিন পর সন্ত্রাসী নিয়ে ঘরে ডুকে জোর করে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এখন তারা সেই ষ্ট্যাম্প দেখিয়ে দোকান দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আদালতে ১৪৪ জারি করা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।
(এসএএস/এএস/মে ১৩, ২০২৪)