‘মৃত্যুর আগে দীনেশ কর্মকারের জমিতে একটি স্মৃতিসৌধ দেখে যেতে চাই’
রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেদের সঙ্গে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের ভাড়াসিমলা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা খান আসাদুর রহমানও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। শত্রুর বুলেটের এত সব আঘাত সহ্য করেও সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা অন্ততঃ ২৫টি যুদ্ধের মোকাবেলা করেছিল। এরমধ্যে ১৬টি যুদ্ধ ছিল উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন খান আসাদুর রহমান। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে অপশাসন ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়াতে পারে তার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সাঈদ মেহেদী। পাঁচ বছরের শাসনামলে তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমান কয়েকগুণ বেড়েছে। যার ফলশ্রুতি হিসেবে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ভরাডুবি হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খান আসাদুর রহমান (৭৯) ১৯৪৬ সালের ১৪ আগষ্ট সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের বড়সিমলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৃত মোবারক আলী অবিভক্ত ভারতের বসিরহাটে বিদ্যালয় পরিদর্শক ছিলেন। মায়ের নাম রাবেয়া খাতুন। তিনি ছিলেন গৃহীনি। চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে বড় ভাই আব্দুর রহমান শুল্ক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহপাঠী ছিলেন। মেঝ ভাই মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান খান পিডিবিতে চাকুরি করতেন। ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা মাহামুদুর রহমান অদ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম হিসেবে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যান। ব্রিটিশ আমলে সাতক্ষীরায় যে চারটি পরিবার ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল বলে শোনা যায় তাদের মধ্যে খান আসাদুর রহমানের পরিবার ছিল অন্যতম। বাবার চাকুরির সুবাদে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট শহরের জামরুলতলায় অবস্থানকরাকালিন খান আসাদুর রহমানের জন্ম হয়। সেখানে শিশু শ্রেণীতে পড়াশুনা করেন। পরে কালীগঞ্জের নলতা ইউনিয়নের কাজলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়েছেন তিনি। মেট্রিক পাস করেন কালীগঞ্জের পাইলট হাইস্কুল থেকে। যশোর এমএম কলেজ থেকে ১৯৬৬ সালে স্নাতক পাশ করেন খান আসাদুর রহমান।
২৪ বছর বয়সে তিনি বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এর ভাষণ শুনে দেশমাতৃকাকে স্বাধীন করার জন্য উদ্বুদ্ধ হন। পরদিন ৮ মার্চ কালীগঞ্জ উপজেলা সদরের সোহরাওয়ার্দি মাঠে খান আসাদুর রহমান, আতাউর রহমান, হায়দার খলিফা, আব্দুল আপু, আব্দুস সোবহান, শেখ মনির আহম্মেদ একত্রিত হয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা তোলেন। তারপর মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসেবে ভারতের হিঙ্গলগঞ্জ ও বসিরহাটে যান। সেখানে সাতক্ষীরার ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। দেখা হয় কামরুজ্জামান টুকু ও তৌফিক আহম্মেদ এর সঙ্গে। বিএসএফ এর সহকারি কমাণ্ডিং অফিসার এসি পা-ে আসাদুর রহমানকে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। যুদ্ধচলাকালিন সময়ে এলাকার ছাত্র ও যুবকদের সংগঠিত করেন।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কালীগঞ্জে আসার পর তাকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন খান আসাদুর রহমান। তিনি মুজিব বাহিনীর হয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে ৯ নং সেক্টরের আওতাধীন যুদ্ধে অংশ দিয়েছিলেন। তার মেঝ ভাই পিডিবি কর্মকর্তা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান ও ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মাহামুদুর রহমান খান ৯নং স্কেটরের আওতায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তিনি কালীগঞ্জের পিরোজপুর, ঘুষুড়ি, আশাশুনির শ্রীকলস ও শ্যামনগরের গোপালপুরে সরাসরি পাক সেনাদের সাথে যুদ্ধ করেন। কারবালা মাঠের আট শতক জমি দান করে বড়সিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন আসাদুর রহমান। পরবর্তীতে বড়সিমলা কারবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২২ শতক জমি দান করেন আসাদুর রহমানের পরিবার। ১৯৭০ সালে তিনি বড়সিমলা কারাবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি খুলনা শহরের দোলখোলা এলাকার ঠিকাদার রফিকুল বারীর মেয়ে নাগিনা খাতুনকে বিয়ে করেন। ২০০৪ সালের আগষ্ট মাসে তিনি শিক্ষা জীবন থেকে অবসরে যান। এরপর দু’বার তিনি ওই প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন নিঃসন্তান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার জন্য তিনি শেষ পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০৮ সালে ১৪ দলীয় সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
স্মৃতিচারণাকালে খান আসাদুর রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২ মার্চ সাতক্ষীরা শহরে কার্ফু চলাকালিন পাকিস্তান বিরোধী মিছিলে রাজাকাররা গুলি করে হত্যা করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাংলার দামাল ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার প্রতি অনুপ্রেরণা যোগায়। আর এখান থেকে শুরু হয় সাতক্ষীরার দামাল ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া। মুক্তিযুদ্ধের খরচাদি বহনের জন্য সাতক্ষীরা ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল ট্রেজারী হতে অস্ত্র আর ন্যাশনাল ব্যাংক হতে অলংকার টাকা পয়সা লুটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মুক্তির সংগ্রাম। ৮ম ও ৯ম সেক্টরের অধীনে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ট্রেনিং শেষে ২৭ মে সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় পাক সেনাদের দু’শতাধিক সৈন্য নিহত হয়। ১৭ ঘণ্টাব্যাপী এ যুদ্ধে শহীদ হন তিন জন মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন আরো দু’জন মুক্তিযোদ্ধা। এরপর থেমে থেমে চলতে থাকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গুপ্ত হামলা। এসব যুদ্ধের মধ্যে ভোমরার যুদ্ধ, টাউন শ্রীপুর যুদ্ধ, বৈকারী যুদ্ধ, খানজিয়া যুদ্ধ, বালিয়াডাঙাযুদ্ধ উল্লেখযোগ্য। এ সব যুদ্ধে শহীদ হয় ৩৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। লাইটের আলোয় অসুবিধা হওয়ায় ৩০ নভেম্বর টাইম বোমা দিয়ে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীত সন্ত্রস্ত করে ফেলে পাক সেনাদের। রাতের আঁধারে বেড়ে যায় গুপ্ত হামলা। পিছু হটতে শুরু করে পাক সেনারা। ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় টিকতে না পেরে বাঁকাল, কদমতলা ও বেনেরপোতা ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে পাক বাহিনী সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর জয়ের উন্মাদনায় জ্বলে ওঠে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা।
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে শত্রুদের গুলিতে সাতক্ষীরার যে সকল বীর সন্তান শহীদ হন- তারা হলেন শহীদ আব্দুর রাজ্জাক, কাজল, খোকন, নাজমুল, হাফিজউদ্দিন, নুর মোহাম্মদ, আবু বকর, ইমদাদুল হক, জাকারিয়া, শাহাদাত হোসেন, আব্দুর রহমান, আমিনউদ্দিন গাজী, আবুল কালাম আজাদ, সুশীল কুমার, লোকমান হোসেন, আব্দুল ওহাব, দাউদ আলী, সামছুদ্দোহা খান, মুনসুর আলী, রুহুল আমীন, জবেদ আলী, শেখ হারুন অর রশিদ প্রমুখ। তবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে প্রথম শহীদ আব্দুর রাজ্জাককে যারা গুলি করে হত্যা করেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন আশাশুনির চাপড়ার রাজাকার কমা-ার লিয়াকত, মুজিবর সরদার, বাকী বিল্লাহ। তবে স.ম সালাহউদ্দিন ও ওইসময় মিছিলে গুলি চালিয়েছিলেন বলে জানা যায়।
তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের ডোবায়, ঝাউডাঙা বাজারের পুজা ম-পের পাশে, গোবিন্দকাটি প্রাইমারী স্কুলের পাশে, বাদামতলা, বাঁকাল ব্রীজের নীচে, তালা উপজেলার পারকুমিরা, হরিণখোলা- গোয়ালপোতা সীমান্ত, জালালপুরের বেলে, মাগুরা, কালীগঞ্জের পূর্ব নারায়ণপুর, শ্যামনগরের গোপালপুর, কলারোয়ার বালিয়াডাঙা, দেবহাটার খেজুরবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে পাকসেনারা গুলি করে হত্যা করে ভারতে গমনকারি অগণিত নারী, পুরুষ ও শিশুকে। ওইসব স্থানে গণকবর ও বধ্যভূমির অধিকাংশই স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সংরক্ষিত হয়নি। নির্মিত হয়নি স্মৃতিসৌধ। এমনকি সাতক্ষীরা জজ কোর্ট চত্বরে সরকারি খরচে যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয় তাতে কয়েকজন রাজাকারের নাম রয়েছে। কলারোয়ার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বালিয়াডাঙা বাজারে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সেখানে নির্মিত শহীদ মিনারটি অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্ন। সেখানকার স্মৃতি ফলকে ২০ জন মুক্তিযোদ্দার নাম রয়েছে। সেখানে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই পাচ্ছেন সরকারি ভাতা। অথচ ওই শহীদ মিনার ও স্মৃতি সৌধটি অপরিষ্কার ও অপরিচ্ছন্নভাবে দন্ডায়মান রয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর বা কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। একইভাবে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে দীনেশ কর্মকারের জমিতে থাকা বদ্ধভূমি সংস্কার করে তার মৃত্যুর আগে সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ দেখে যেতে চান। দীনেশ কর্মকারের জমিতে থাকা বদ্ধভূমি জেনেও মুক্তিকযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় নিন্দা জানান তিনি।
গত ৮ মে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে মন্তব্য করতে যেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা খান আসাদুর রহমান জানান, কালিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধাদের দুর্জয় ঘাঁটি। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালিন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা উপেক্ষা করে নৌকা প্রতীকের প্রাথী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেন সাঈদ মেহেদী। জয়লাভের পর তার বিরুদ্ধে যমুনা খননের টাকা লুটপাঠ, যমুনার দুই পাশ থেকে ভূমিহীনদের উচ্ছেদ, ক্ষতিপূরণ না দিয়ে রেকডীয় জমির উপর দিয়ে খাল খনন, নিজের ছেলের বান্ধবীকে বিয়ে, একসময়কার ছাত্র শিবির নেতা সাজুকে ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন কাজের টাকা আত্মসাৎ, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কাজ না করে বা নামমাত্র কাজ করে লুটপাট. মৎস্য বিভাগের টাকা লুটপাট, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দিনকে মারপিট, পিরোজপুরে হিন্দুদের শ্মশানের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে নেপথ্য ভ্যূমিকা পালন করা, নরহরকাটিতে ৪০ ঘর ভূমিহীন পরিবারের দীর্ঘ ৫০ বছরের দখলীয় জমি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সন্ত্রাসীদের দিয়ে কাটা তারের বেড়া দিয়ে জবরদখল, কুখ্যাত জামাত নেতা চৌমুহুনী দারুল উরুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাড়ে নয় বছরের দাখিল পাস ও কমপক্ষে এক ডজনেরও বেশি নাশকতার মামলার আসামী আব্দুল কাদের হেলালীকে মদত দিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিরি সভাপতি বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হক ও আবু তালেব সরদারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলা এবং মাদকাসক্তির বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় স্থান পায়। ভোটের মাঠে টাকা ছড়ানোর খবর ছিল ওপেন টু অল। এরপরও একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে সাঈদ মেহেদেীর পরাজয় ও কালিগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ওয়াহেদুজ্জামানের ছেলে প্রকৌশলী শেখ মেহেদী হাসান সুমন এর জয়লাভে তিনি যার পর নেই খুশী। অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়তে সাঈদ মেহেদীর করা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সুমন কালিগঞ্জের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন খান আসাদুর রহমান।
(আরকে/এসপি/মে ১১, ২০২৪)