পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য
মাদারীপুরে দুই কনস্টেবল সাময়িক বরখাস্ত
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে দুই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) দুপুরে মাদারীপুর জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির।
সাময়িক বরখাস্ত দুই কনস্টেবল হলেন শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার। রাজৈর থানায় কর্মরত ছিলেন শহিদুল ইসলাম। অপরদিকে তানজিলা আক্তার মাদারীপুর জেলা আদালতের পুলিশের শাখায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের পহেলা মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও তানজিলা আক্তার। এসময় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর এলাকার রবি দাসের ছেলে রতন দাসের কাছ থেকে নগদ ১৪ লাখ টাকা ঘুষ নেন। টাকা নেয়ার সময় বিশ্বাস অর্জনের জন্য তানজিলা আক্তার নিজের স্বাক্ষর করা কমিউনিটি ব্যাংকের একটি চেক দেন চাকুরী প্রত্যাশী রতন দাসকে। পরে পুলিশ নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হলে রতনের নাম প্রকাশ হয়নি। তাই চাকুরী না পেলে রতন দাস একাধিকবার পাওনা টাকা ফেতর চাইলে অভিযুক্ত দুইজনই টালবাহানা শুরু করেন। পরে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগি অভিযুক্ত দুইজনের বিচার ও টাকা ফেরত চেয়ে পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন রতন দাস। সম্প্রতি অভিযোগটি আমলে নিয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাসুদ আলম তদন্তের জন্য একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন। তদন্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দুইজনকে সাময়কি বরখাস্ত করে মাদারীপুর জেলা পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(এএসএ/এসপি/মে ১১, ২০২৪)