সুবর্ণচরে জোরপূর্বক গাছ কর্তন ও ভূমি দখলের অভিযোগ
মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালী সুবর্ণচরে জোরপূর্বক গাছ কর্তন ও ভূমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড চরজব্বর গ্রামে।
খরিদ সূত্রে জমির মালিক ভুক্তভোগী আক্তার মির্জা ও তার কেয়ারটেকার মোঃ সফিক উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আক্তার মির্জা চরজব্বর মৌজার ৮৪ নং খতিয়ানে ১৯৯৮ সালে আব্দুল হামিদ বাচ্চু, মনির আহমেদসহ তার স্ত্রীদের কাছ থেকে ৩ একর ৮৯ শতাংশ জায়গা ছাপ কবলা দলিল করে কিনে নেন। গত কিছুদিন ধরে একটি মহলের ইন্ধনে ঐ জায়গাতে ২৫ বছর আগে রোপন করা বিভিন্ন জাতের প্রায় ৬০/৭০ টি গাছ কেটে বিক্রি করে দেন বাচ্চু এবং মনির আহমেদের পুত্র আইয়ুব নবী এবং একই এলাকার বাসিন্ধা আজিজুল হক, আব্দুল মালেক, আব্দুর রশিদ, মজিবুল তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা। এতে তার ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয় সেই সাথে বিক্রিত জায়গা দখলের করার চেষ্টা করছে বাচ্চু এবং মনিরের পরিবার বাঁধা দিলে মারধরসহ ঘুম খুনের হুমকি দেন বাচ্চু এবং মনির। ছাপ কবলা দলিল জমি বিক্রি করার পরেও ঐ দলিল বাতিলের জন্য মিথ্যা মামলাও করেন বাচ্চু গং। এ ঘটনায় কেয়ারটেকার সফিক উল্যাহ চরজব্বর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আক্তার মির্জা আরো বলেন, আব্দুল হামিদ বাচ্চু গংয়েরা ১৯৯৮ সালে নিজেরা জায়গা বিক্রি করে এখন সে জায়গা জোর পূর্বক দখলের পায়তারা করছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ আমার কেয়ার টেকারকে হুমকি ধমক অব্যাহত রেখেছে আমরা সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক বিচার এবং গাছ বিক্রির উপযুক্ত মূল্য ফেরত চাই।
অভিযুক্ত বাচ্চু এবং মনিরে কাছে জমি দখল ও গাছ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোন জবাব দিতে পারেননি এবং এসব ঘটনার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
চরজব্বর থানার এস আই রফিক বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(আইইউএস/এএস/এপ্রিল ২৩, ২০২৪)